বুধবার, ২০ জুন, ২০১২


অনেক অনেক দিন
পরের কথা !! বাংলাদেশ আর
আমেরিকা ২ দেশেরমধ্যে ভয়ানক যুদ্ধ বেঁধে গেছে. . .
এটা একদিনের ঘটনা যুদ্ধের
ময়দানে ব্যাপক যুদ্ধচলছে !! ২ দেশের
সৈন্যরাই বাংকার এ লুকিয়ে আছে আর
একটু পর পর গুলি করছে ।
এই সময় হঠাত এক বাঙালি সৈন্য
বলে উঠলঃ অই তোদের মধ্যে স্মিথ
নাম কার ???
এক আমেরিকা উঠে দাড়ায়
বলেঃ আমাকে ডাকল
কিডা ???
বাস যাই কোথায়
বাঙ্গালিরা ওকে গুলি করে দিল ...
এরপর কিছুক্ষন গেল ...
এবার আরেক বাঙালি সৈন্য
চিল্লায়ঃ অই "জন" আসিস ????
আরেক আমেরিকান এবার
উঠে বলেঃ কোন
বেটা আমারে ডাকে ???
বাস, বাঙ্গালিরা তাকেও
গুলি করে দিল ...
আমেরিকানরা তোঁ পুরা ভ্যাবাচ্যাকা ।।
এসব কি হচ্ছে ???
বুদ্ধি তে তো পারা যাচ্ছে না এই
বাঙালি গুলার সাথে । দাড়াও তোদের
বুদ্ধি তোদের বিপক্ষেই খাটামু এই
ভাইবা আরেক
আমেরিকান চিল্লায় উঠলঃ অই
"মোখলেস" তুই কনে ???
বাঙ্গালিরা দেখে আমেরিকানদের
বুদ্ধি তো কম না???
কি করবে কি করবে ভাবতে ভাবতে এক
বাঙ্গালি সৈন্য
বলে উঠলঃ অই মোখলেস
রে ডাকে কিডা ????
তখন অই আমেরিকান
ডা খট করে উঠে দারায়
কয় ...
"আমি ডাকিছি"... ... ... ...
তারপর ??
.
.
.
.
.
.
.
তারপর আর কি ??? তাকেও
বাঙ্গালিরা গুলি করল ।
আহাম্মকি করতে করতে আমেরিকানরা যুদ্ধে ভরাডুবি খায়
বাংলাদেশের হাতে।:-P

মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১২

‎"রাজকন্যার অপেক্ষায় ..."

নিশাদ আর নিহান এর জন্য সন্ধ্যা ৭ টা মানে সব কাজ ফেলে দরজার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকা...ডোরবেলটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই দুইভাই কে কার আগে দরজা খুলবে সেটা নিয়ে রীতিমতো মারামারি লেগে যায় । আজ ও তেমনটাই হল দুজন দিব্যি দরজার সামনে দাড়িয়ে ঝগড়া করছে কাল কে আগে দরজা খুলেছিল তা নিয়ে...বুঝলাম ওদের অপেক্ষায় থাকলে আজ আর নিবিরের ঘরে ঢোকা হবে না তাই নিজেই উঠে গিয়ে দরজা খুললাম ... সাথে সাথেই নিশাদ আর নিহান প্রায় উড়ে গিয়ে নিবিরের উপর ঝাপিয়ে পড়লো...
নিবির ওদের বাবা...শুধু বাবা বললে ভুল হবে ওদের কাছে নিবির সুপারহিরো টাইপ কিছু। ওদের কাছে বাবা মানে হচ্ছে ওদের নিজেদের পৃথিবী।মাঝে মাঝে আমার হিংসা হয় এইভেবে যে ওরা বোধহয় নিবিরকে আমার চেয়েও বেশি ভালবাসে যদিও জানি সেটা কখনই সম্ভব নয় ।আমার ধারনা নিবির আর আমি পৄথিবীর যেকোনো ভালোবাসার মানদণ্ডে খুব সহজেই অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি নম্বর পেয়ে উতরে যাবো । নিবির আর আমার শুরুটা আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে...।

আমি নবীতা , তখন সবেমাত্র একটা প্রাইভেট ইউনিতে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েছি । চারপাশের সবকিছুই খুব বেশি অপরিচিত।ইউনি যেতে একদমই ভাল লাগত না । ভাল লাগত না চারপাশের কোলাহল ।এরকম একটা সময় খুব কাকতালীয় ভাবেই নিবিরের সাথে পরিচয় একটা ভলিনটিয়ার টিমে কাজ করতে গিয়ে।নিতান্ত শখের বশেই কাজটা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু তখন কেইবা জানত জীবনের আসল শুরুটা এখানেই হবে ।এবার ছেলেটার ব্যাপারে একটু বলি।ছেলেটার দিকে তাকিয়ে সবার আগে যেই কথাটা মাথায় এসেছিল তাহলো ওর চোখগুলো অনেক বেশি জীবন্ত। মনে হচ্ছিলো সারাক্ষণ ওর চোখ একা একাই নিজের সাথে কথা বলছে।ছেলেটা বয়সে আমার ছেয়ে দুবছরের ছোট তখন সবেমাত্র কলেজে পড়ে।দেখতেও খুব বাচ্চা বাচ্চা কিন্তু দ্বিতীয় দিন কথা বলে বুঝলাম ও অনেক বেশি গুছানো আর খুব বেশি প্রাকটিকাল।মনে মনে খুব অবাক হয়েছিলাম সেদিন বাচ্চা ছেলেটাকে এত বেশি অরগানাইজড দেখে...কাজের কারনে মাঝে মাঝেই দেখা হত আমাদের কিন্তু কথা যতটুকু হত ততটুকু নিতান্তই ভদ্দ্রতাবশত সৌজন্য বিনিয়ম । এর বেশি কিছুই নয়।ঘটনাটা শুরু হলো যখন একদিন কাজে ওর মোবাইলে ফোন দিয়ে শুনলাম ছেলেটা ওর বাবার বাইকে একসিডেন্ট করেছে।খোঁজখবর নিতে তখন প্রায় প্রতিদিনই ফোন দিতাম। কিছুদিন পর আমি তেমন একটা ফোন না দিলেও ও নিজে থেকেই ফোন দিতো নিয়ম করে...এভাবে কথা চলতে থাকল আমাদের।আর প্রতিবার ওর সাথে কথা বলে আমি অবাক হতাম ওর বুদ্ধিমত্তা দেখে ।আমি বুঝতাম ও শুধু বয়সেই ছোট ,অন্য সবদিক থেকে আমার চেয়ে অনেক বড়।এভাবে কথা চলল প্রায় একমাস । ততদিনে সম্পর্কটা খুব সহজ হয়ে গেছে আমাদের।নিজেদের সব কথা একজন আরেকজনের সাথে শেয়ার করতাম,এক কথায় খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম দুজন।একদিন খুব সকালে আমি ইউনি যাচ্ছি এমন সময় হঠাৎ দেখি নিবিরের ফোন ।ফোন ধরতেই ও বলল, জানো আজকে পুরো একমাস হল আমরা ফোনে কথা বলি। আমি রীতিমতো আকাশ থেকে পরলাম এটা জেনে যে ছেলেটা আমাদের কথা শুরু হওয়ার দিন তারিখ পর্যন্ত মনে রেখেছে । তখন খুব বেশি কিছু চিন্তা করলাম না এটা নিয়ে, কিন্তু সেইদিন সন্ধায় হুট করে ও ফোনে বলল ,আচ্ছা ধরো আমি তোমাকে আই লাভ ইউ বললাম তুমি কি বলবে ? ফোনের এইপাশে আমার প্রচণ্ড হাসি শুনে ও মোটামুটি বুঝতে পারলো ব্যাপারটা আমি দুষ্টুমি হিসেবে নিয়েছি।তখন ও যেটা বলল সেটা শুনে কয়েক মুহূর্ত আমি নিশব্দ হয়ে রইলাম,বুঝলাম ছেলেটা সত্যি ভালবেসে ফেলেছে আমাকে।নিজেকে খুব অপরাধী মনে হল। মনে হল দোষটা আমার ।মনে মনে ভাবলাম ছেলেটাকে যত তাড়াতাড়ি পারি আমার জীবন থেকে সরাতে হবে।প্রথম কয়েদিন আমি অনেক রাগ দেখালাম ওর সাথে কিন্তু যখন কিছুতেই কিছু বুঝাতে পারলাম না ওকে,ডিসিশন নিলাম ওর সাথে আর যোগাযোগ রাখব না,এটা ওকে জানাতেই ও বলল ওর কাছে আমার বন্ধুত্বটা অনেক বেশি দামি , ও আর কিছুই চায় না আমার কাছে ,শুধু বন্ধু হয়েই সারাজীবন আমার জীবনে থাকতে চায় ও ।আমি বুঝলাম আমিও ওর মত বন্ধুকে হারাতে চাই না ।তারপর খুব সাভাবিকভাবেই কিছুদিন কথা চলল আমাদের। আমি বুঝতে পারলাম খুব বেশিদিন ওর কাছে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারবনা আমি ।বুঝলাম নিজের অজান্তেই আমিও ওকে ভালবেসে ফেলেছি ।সত্যি বলতে কি ওর ভালবাসাটা এত তীব্র ছিল যে অনেক চেষ্টা করেও আমি নিজেকে ওর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারিনি। জানতাম সামনে খুব ভয়ঙ্কর সময় । আমার আর ওর পরিবার কখনই এই অসম বয়সের সম্পর্কটা মেনে নিবে না । নিজেকে থামানোর অনেক চেষ্টাও করলাম কিন্তু হল না ,বুঝলাম অনে বেশি ভালবেসে ফেলেছি ওকে। এরপরের কয়েকটা মাসস্বসপ্নের চেয়েও সুন্দর ছিল । অনেক বেশি ভালোবাসায় নিবির সারাক্ষণ একটা ছোট্ট বাচ্চার মত আমাকে ওর বুকে আগলে রাখত ।প্রচণ্ড ভালবাসায় অস্থির ছিলাম আমরা।ওর ছোট ছোট কিছু জিনিস এত অদ্ভুত ছিল,একদিন ইউনি থেকে ফোনে কথা বলতে বলতে আমি ওকে বললাম আমার অনেক চটপটি খেতে ইচছা করছে। ওর বাসা তখন আমার ইউনি থেকে অনেকদূরে কিন্তু ঠিকই ক্লাস শেষ করে বের হয়ে দেখি ও আমাকে চটপটি খাওয়াতে নিয়ে যেতে এসেছে ।এভাবেই চলতে থাকলো আমাদের ভালবাসার দিনগুলো ।দেখতে দেখতে ইউনির তৃতীয় বর্ষে চলে আসলাম আমি আর ও তখন কলেজ শেষ করে মাত্র ইউনিতে ঢুকবে । এমন সময় আমার বাসা থেকে বেশ জোরেসোরে বিয়ের কথাবার্তা শুরু হল । বুঝলাম সেই সময়টা চলে এসেছে।আগেই ভেবে রেখেছিলাম বাবা মাকে কষ্ট দিয়ে কিছু করব না তাই কি করব বুঝতে পারলাম না ।অনেক ভাবলাম ।নিবিরের তখন কিছুই ছিল না,তাই সাহস করে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারল না ও । খুব কষ্টে কাটছিল আমাদের দিনগুলো । আমি নিজেকে বুঝালাম আমাকে শক্ত হতে হবে নিবিরকে বললাম ও যেন চিন্তা না করে, ও যা চায় তাই হবে । এর মধ্যে আমার বাসায় আমার সম্পর্কের ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেল। বাসা থেকে খুব প্রেসার দিল আমাকে বিয়ে করার ব্যাপারে । নিবির তখনও নিশ্চুপ । শুধু দেখা হলেই বলতো, ও জানে যেটা ওর সেটা কেউ কোনোদিন ওর কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবেনা।বুঝতাম ও কোনোভাবেই আমাকে ছেড়ে যাবে না ।ওকে দেখে কিছুটা হলেও সাহস পেতাম আমি । ওর বিশ্বাসের জোরেই কিনা জানিনা অনেক কষ্ট আর চেষ্টায় আমাদের বিয়েটা ঠিকই হল কিন্তু আমার বাবা মা একদমই খুশি ছিলেন না ,ওরা বিয়েটা মেনে নিলনা। আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল ওদের কথা চিন্তা করে। ঐসময়টাতে নিবির আমাকে অনেক বোঝাতো , বলতো তুমি দেখো আমি ঠিকি একদিন আম্মুদেরকে মানিয়ে ফেলব । আমাকে খুব অবাক করে দিয়ে নিবিরের অনেক সাধনা আর চেষ্টায় আম্মুরা একদিন সত্যিই বুঝল নিবিরের চেয়ে বেশি সুখে আমাকে আর কেউ রাখতে পারবে না । ওরা আমাদেরকে মেনে নিল ।এরপর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও নিবির আমার বাবামাকে অনাদর করেনি,ওর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় এতটুকু কমতি ছিল না কখনো , খুব তাড়াতাড়ি আমার বাবা মা যেন ওরই বাবা মা হয়ে গেল ।এখন মাঝেমাঝে মনে হয় আম্মুরা বোধহয় আমার চেয়ে ওকেই বেশি ভালবাসে ।এই একটা জায়গায় আমি সবসময় নিবিরের কাছে হেরে যাই ।সবাই ওকে অনেক অনেক বেশী ভালবাসে ,কেমন করে জেনো সবাইকে আপন করে নেয় আমার নিবির কিন্তু আমি জানি ও সবচেয়ে বেশি ভালবাসে আমাকে । ওর ভালবাসা এই ছ’বছরে এতটুকু কমেনি বরং বেড়েছে অনেক বেশি, ওকে যেন প্রতিদিন নতুন করে ভালবাসি আমি ,কিন্তু এইতো আর মাত্র কিছুদিন পর ও আমার চেয়েও বেশী ভালবাসবে অন্যএকটা মেয়েকে । দিনরাত এখন শুধু সেই সপ্নই ওর দু'চোখ জুড়ে।প্রতিদিন রাতে ও সপ্নে দেখে ফুটফুটে ছোট্ট একটা মেয়ে ওর কাধে চড়ে সারা ঘরময় ঘুরে বেড়াচ্ছে ।ওকে পাপাই বলে ডাকছে । ওর সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে আজ শুধু অপেক্ষা ...সেই নতুন অতিথির অপেক্ষায় মগ্ন আজ নিবির । অপেক্ষায় নবনী ,নিশাদ আর নিহানও ।

আজ নিবিরের জন্মদিন ।সকাল থেকে নিশাদ আর নিহান আমার সাথে কিচেনে দাড়িয়ে ওর পাপাই এর জন্য চকলেট কেক বানানো দেখেছে । আমাদের ছোট্ এই সংসারে প্রতিদিন ভালবাসা বাড়ে ।একটু একটু করে সাজানো এই রাজ্যে ছোট্টো এক রাজকন্যার সপ্ন দেখছি আজ আমরা সবাই মিলে ।...

আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন ।দোয়া করবেন আমার নিবির আর ওর অনাগত রাজকন্যার জন্য ।

লিখেছেন - গোগোলের বাবুই পাখি


স্ত্রী: আমার সাথে ১০ বছর সময় কাটানো তোমার কাছে কি?
স্বামী: (স্ত্রীকে খুশি করতে) আরে সেতো ১ সেকেন্ড মনে হয়েছে । চোখের পলকে কেটে গেল প্রিয়...
স্ত্রী: (খুশি হয়ে) আমার জন্য ১০,০০০ টাকা তোমার জন্য কি?
স্বামী: আরে সেতো ১ টাকার মত। কোন ব্যাপারই না।
স্ত্রী: (ততধিক খুশি হয়ে) তা জানু আমাকে ১০,০০০ টাকা দিতে পারবে এখন?
স্বামী: (গম্ভির হয়ে) দাড়াও এক সেকেন্ড পরে দেই।

প্রশ্ন ছিল আমার যোগ্যতা নিয়ে, আমি তোমার যোগ্য কিনা??
উত্তর টা ছিল না... 

একটা সময় ছিল যখন তোমাকে খুব চাইতাম...
তোমার কথায় অনেক কষ্ট পেতাম...
কষ্ট সহ্য করতে না পেরে দুচোখে বন্যা বইতো...
আর হাত জুড়ে থাকতো লাল তরলের প্রবাহ...

আজ সব বদলে গেছে...
আজ নিজেকে অন্য ভাবে চিনিয়েছি সবার কাছে...
আমার কাছে তোমার ফিরে আসার পথ আরও সংকীর্ণ করে দিলাম...

আগে চাইলেই আমার কাছে ফিরতে পারতে...
এখন আর তা হবার নয়...

এবার আমাকে খুজে বের করতে হবে...
খুজে পেলেও যে খুব বেশি কিছু হবে তা নয়...

এবার আমার কাছে ফিরতে হলে তোমাকে সেই যোগ্যতার প্রশ্নটার সামনে দাড়াতে হবে...

তুমি ফিরতে চাইলে, আমি তোমাকে ফিরিয়ে নেব কিনা জানি না...
তবে আমার চোখের পানির হিসেব আমি নেব...

সেদিনের থার্ড ক্লাস ছেলেটা আজ ফার্স্ট ক্লাস হয়ে যায় নি...
শুধু তোমাকে তার জীবন থেকে মুছে দিতে চেয়েছে...

এই থার্ড ক্লাস ছেলেটার জীবনে কিছু লেসনের দরকার ছিল যা তুমি দিয়েছে...
আমি কৃতজ্ঞ সে জন্য...

যতবার আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছি কোন না কোন ঝড় এসে আমাকে ফেলে দেয়...
এবার আর পড়ে জেতে চাই না...

তাই তোমার ফিরে আসার পথ অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছি...
তবু তোমাকে ফিরে পেতে ইচ্ছা করে...
তার একটাই কারন তোমাকে খুব ভালবাসি...
কেন ভালবাসি তা জানি না...

তোমার মত এত হিসেব করে আমি পথ চলতে জানি না... এত কারন ও আমার জানার দরকার হয় না...

শুক্রবার, ১ জুন, ২০১২


ভালবাসা কি জানেন ??


আচ্ছা আজকে আপনাদের একটা গল্প বলি অনেক আগের ঘটনা তাও আরেকবার বলি,
এক লোক রাতের বেলা বাড়ি ফিরেছে , সে প্রচুর পরিমানে মদ পান করে মাতাল অবস্থায় বাড়িতে ঢুকেই ভাংচুর শুরু করেছে, সবকিছু নষ্ট করেছে , তারপর বমি করে ফ্লোর নষ্ট করেছে, তার স্ত্রী তাকে পরিষ্কার করে বিছানায় শুয়ে দিয়েছিল , তার পর সব কিছু গুছ-গাছ করে তারা ঘুমাতে গেল 

পরের দিন যখন সকাল বেলা লোকটার ঘুম ভাংলো তার ধীরে ধীরে সব মনে পড়তে লাগলো আর তার মনের ভয় বারতে লাগলে যে তার স্ত্রী হয়তো তাকে অনেক বোকবে আর তার সাথে ঝগড়া করবে,
সে দোয়া করতে লাগলো যাতে তাদের সম্পর্কটা নষ্ট না হয় কারন তাদের ছোট একটা মেয়ে ও আছে ,

তার পর সে যখন উঠে বসলো দেখলো তার বালিশ এর সাথে একটা চিঠি, সে খুব ভয় পেয়ে গেলো সে ভাবলো হয়তো তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে কিন্তু সে চিঠিটা পড়ে বোকা হয়ে গেলো 
চিঠিতে লিখা ছিলো "জান, তোমার প্রিয় নাস্তা গুলো আমি সকাল সকাল উঠে বানিয়েছি, তুমি ঘুম থেকে উঠে খেয়ে নিও,রান্নার জন্য বাজার করতে হবে তাই আমি বাজারে এসেছি যত দ্রুত সম্ভব আমি বাজাড় শেষ করে তোমার কাছে ফিরে আসছি , আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি"

তার পর লোকটি তার মেয়ে কে ডাকলো আর জিজ্ঞেস করলো কাল রাতে কি হয়েছিলো ?
তার মেয়ে বলল , "বাবা তুমি কালকে কেমন যেন করেছ সব ভেঙ্গেছ, বমি করেছ , কাপড় নষ্ট করেছো তার পর তোমার শরীর অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল আর মা তোমার কাপড় খুলে দেবার সময় তুমি মাকে বলেছ, এই মেয়ে আমার থেকে দূরে থাকো আমি বিবাহিত , তার পর মা তোমাকে ধরে অনেকক্ষণ কেঁদেছিল "

এই হল ভালবাসা , একজন মানুষ যতোই অন্য মনা হয়ে থাকেন না কেন, ভালবাসার মানুষকে কখন ও ভুলা যায় না ! ♥ ♥

ভাল লাগলে শেয়ার করবেন এবং মন্তব্য জানাবেন । ধন্যবাদ