বুধবার, ২০ জুন, ২০১২


অনেক অনেক দিন
পরের কথা !! বাংলাদেশ আর
আমেরিকা ২ দেশেরমধ্যে ভয়ানক যুদ্ধ বেঁধে গেছে. . .
এটা একদিনের ঘটনা যুদ্ধের
ময়দানে ব্যাপক যুদ্ধচলছে !! ২ দেশের
সৈন্যরাই বাংকার এ লুকিয়ে আছে আর
একটু পর পর গুলি করছে ।
এই সময় হঠাত এক বাঙালি সৈন্য
বলে উঠলঃ অই তোদের মধ্যে স্মিথ
নাম কার ???
এক আমেরিকা উঠে দাড়ায়
বলেঃ আমাকে ডাকল
কিডা ???
বাস যাই কোথায়
বাঙ্গালিরা ওকে গুলি করে দিল ...
এরপর কিছুক্ষন গেল ...
এবার আরেক বাঙালি সৈন্য
চিল্লায়ঃ অই "জন" আসিস ????
আরেক আমেরিকান এবার
উঠে বলেঃ কোন
বেটা আমারে ডাকে ???
বাস, বাঙ্গালিরা তাকেও
গুলি করে দিল ...
আমেরিকানরা তোঁ পুরা ভ্যাবাচ্যাকা ।।
এসব কি হচ্ছে ???
বুদ্ধি তে তো পারা যাচ্ছে না এই
বাঙালি গুলার সাথে । দাড়াও তোদের
বুদ্ধি তোদের বিপক্ষেই খাটামু এই
ভাইবা আরেক
আমেরিকান চিল্লায় উঠলঃ অই
"মোখলেস" তুই কনে ???
বাঙ্গালিরা দেখে আমেরিকানদের
বুদ্ধি তো কম না???
কি করবে কি করবে ভাবতে ভাবতে এক
বাঙ্গালি সৈন্য
বলে উঠলঃ অই মোখলেস
রে ডাকে কিডা ????
তখন অই আমেরিকান
ডা খট করে উঠে দারায়
কয় ...
"আমি ডাকিছি"... ... ... ...
তারপর ??
.
.
.
.
.
.
.
তারপর আর কি ??? তাকেও
বাঙ্গালিরা গুলি করল ।
আহাম্মকি করতে করতে আমেরিকানরা যুদ্ধে ভরাডুবি খায়
বাংলাদেশের হাতে।:-P

মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১২

‎"রাজকন্যার অপেক্ষায় ..."

নিশাদ আর নিহান এর জন্য সন্ধ্যা ৭ টা মানে সব কাজ ফেলে দরজার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকা...ডোরবেলটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই দুইভাই কে কার আগে দরজা খুলবে সেটা নিয়ে রীতিমতো মারামারি লেগে যায় । আজ ও তেমনটাই হল দুজন দিব্যি দরজার সামনে দাড়িয়ে ঝগড়া করছে কাল কে আগে দরজা খুলেছিল তা নিয়ে...বুঝলাম ওদের অপেক্ষায় থাকলে আজ আর নিবিরের ঘরে ঢোকা হবে না তাই নিজেই উঠে গিয়ে দরজা খুললাম ... সাথে সাথেই নিশাদ আর নিহান প্রায় উড়ে গিয়ে নিবিরের উপর ঝাপিয়ে পড়লো...
নিবির ওদের বাবা...শুধু বাবা বললে ভুল হবে ওদের কাছে নিবির সুপারহিরো টাইপ কিছু। ওদের কাছে বাবা মানে হচ্ছে ওদের নিজেদের পৃথিবী।মাঝে মাঝে আমার হিংসা হয় এইভেবে যে ওরা বোধহয় নিবিরকে আমার চেয়েও বেশি ভালবাসে যদিও জানি সেটা কখনই সম্ভব নয় ।আমার ধারনা নিবির আর আমি পৄথিবীর যেকোনো ভালোবাসার মানদণ্ডে খুব সহজেই অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি নম্বর পেয়ে উতরে যাবো । নিবির আর আমার শুরুটা আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে...।

আমি নবীতা , তখন সবেমাত্র একটা প্রাইভেট ইউনিতে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েছি । চারপাশের সবকিছুই খুব বেশি অপরিচিত।ইউনি যেতে একদমই ভাল লাগত না । ভাল লাগত না চারপাশের কোলাহল ।এরকম একটা সময় খুব কাকতালীয় ভাবেই নিবিরের সাথে পরিচয় একটা ভলিনটিয়ার টিমে কাজ করতে গিয়ে।নিতান্ত শখের বশেই কাজটা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু তখন কেইবা জানত জীবনের আসল শুরুটা এখানেই হবে ।এবার ছেলেটার ব্যাপারে একটু বলি।ছেলেটার দিকে তাকিয়ে সবার আগে যেই কথাটা মাথায় এসেছিল তাহলো ওর চোখগুলো অনেক বেশি জীবন্ত। মনে হচ্ছিলো সারাক্ষণ ওর চোখ একা একাই নিজের সাথে কথা বলছে।ছেলেটা বয়সে আমার ছেয়ে দুবছরের ছোট তখন সবেমাত্র কলেজে পড়ে।দেখতেও খুব বাচ্চা বাচ্চা কিন্তু দ্বিতীয় দিন কথা বলে বুঝলাম ও অনেক বেশি গুছানো আর খুব বেশি প্রাকটিকাল।মনে মনে খুব অবাক হয়েছিলাম সেদিন বাচ্চা ছেলেটাকে এত বেশি অরগানাইজড দেখে...কাজের কারনে মাঝে মাঝেই দেখা হত আমাদের কিন্তু কথা যতটুকু হত ততটুকু নিতান্তই ভদ্দ্রতাবশত সৌজন্য বিনিয়ম । এর বেশি কিছুই নয়।ঘটনাটা শুরু হলো যখন একদিন কাজে ওর মোবাইলে ফোন দিয়ে শুনলাম ছেলেটা ওর বাবার বাইকে একসিডেন্ট করেছে।খোঁজখবর নিতে তখন প্রায় প্রতিদিনই ফোন দিতাম। কিছুদিন পর আমি তেমন একটা ফোন না দিলেও ও নিজে থেকেই ফোন দিতো নিয়ম করে...এভাবে কথা চলতে থাকল আমাদের।আর প্রতিবার ওর সাথে কথা বলে আমি অবাক হতাম ওর বুদ্ধিমত্তা দেখে ।আমি বুঝতাম ও শুধু বয়সেই ছোট ,অন্য সবদিক থেকে আমার চেয়ে অনেক বড়।এভাবে কথা চলল প্রায় একমাস । ততদিনে সম্পর্কটা খুব সহজ হয়ে গেছে আমাদের।নিজেদের সব কথা একজন আরেকজনের সাথে শেয়ার করতাম,এক কথায় খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম দুজন।একদিন খুব সকালে আমি ইউনি যাচ্ছি এমন সময় হঠাৎ দেখি নিবিরের ফোন ।ফোন ধরতেই ও বলল, জানো আজকে পুরো একমাস হল আমরা ফোনে কথা বলি। আমি রীতিমতো আকাশ থেকে পরলাম এটা জেনে যে ছেলেটা আমাদের কথা শুরু হওয়ার দিন তারিখ পর্যন্ত মনে রেখেছে । তখন খুব বেশি কিছু চিন্তা করলাম না এটা নিয়ে, কিন্তু সেইদিন সন্ধায় হুট করে ও ফোনে বলল ,আচ্ছা ধরো আমি তোমাকে আই লাভ ইউ বললাম তুমি কি বলবে ? ফোনের এইপাশে আমার প্রচণ্ড হাসি শুনে ও মোটামুটি বুঝতে পারলো ব্যাপারটা আমি দুষ্টুমি হিসেবে নিয়েছি।তখন ও যেটা বলল সেটা শুনে কয়েক মুহূর্ত আমি নিশব্দ হয়ে রইলাম,বুঝলাম ছেলেটা সত্যি ভালবেসে ফেলেছে আমাকে।নিজেকে খুব অপরাধী মনে হল। মনে হল দোষটা আমার ।মনে মনে ভাবলাম ছেলেটাকে যত তাড়াতাড়ি পারি আমার জীবন থেকে সরাতে হবে।প্রথম কয়েদিন আমি অনেক রাগ দেখালাম ওর সাথে কিন্তু যখন কিছুতেই কিছু বুঝাতে পারলাম না ওকে,ডিসিশন নিলাম ওর সাথে আর যোগাযোগ রাখব না,এটা ওকে জানাতেই ও বলল ওর কাছে আমার বন্ধুত্বটা অনেক বেশি দামি , ও আর কিছুই চায় না আমার কাছে ,শুধু বন্ধু হয়েই সারাজীবন আমার জীবনে থাকতে চায় ও ।আমি বুঝলাম আমিও ওর মত বন্ধুকে হারাতে চাই না ।তারপর খুব সাভাবিকভাবেই কিছুদিন কথা চলল আমাদের। আমি বুঝতে পারলাম খুব বেশিদিন ওর কাছে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারবনা আমি ।বুঝলাম নিজের অজান্তেই আমিও ওকে ভালবেসে ফেলেছি ।সত্যি বলতে কি ওর ভালবাসাটা এত তীব্র ছিল যে অনেক চেষ্টা করেও আমি নিজেকে ওর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারিনি। জানতাম সামনে খুব ভয়ঙ্কর সময় । আমার আর ওর পরিবার কখনই এই অসম বয়সের সম্পর্কটা মেনে নিবে না । নিজেকে থামানোর অনেক চেষ্টাও করলাম কিন্তু হল না ,বুঝলাম অনে বেশি ভালবেসে ফেলেছি ওকে। এরপরের কয়েকটা মাসস্বসপ্নের চেয়েও সুন্দর ছিল । অনেক বেশি ভালোবাসায় নিবির সারাক্ষণ একটা ছোট্ট বাচ্চার মত আমাকে ওর বুকে আগলে রাখত ।প্রচণ্ড ভালবাসায় অস্থির ছিলাম আমরা।ওর ছোট ছোট কিছু জিনিস এত অদ্ভুত ছিল,একদিন ইউনি থেকে ফোনে কথা বলতে বলতে আমি ওকে বললাম আমার অনেক চটপটি খেতে ইচছা করছে। ওর বাসা তখন আমার ইউনি থেকে অনেকদূরে কিন্তু ঠিকই ক্লাস শেষ করে বের হয়ে দেখি ও আমাকে চটপটি খাওয়াতে নিয়ে যেতে এসেছে ।এভাবেই চলতে থাকলো আমাদের ভালবাসার দিনগুলো ।দেখতে দেখতে ইউনির তৃতীয় বর্ষে চলে আসলাম আমি আর ও তখন কলেজ শেষ করে মাত্র ইউনিতে ঢুকবে । এমন সময় আমার বাসা থেকে বেশ জোরেসোরে বিয়ের কথাবার্তা শুরু হল । বুঝলাম সেই সময়টা চলে এসেছে।আগেই ভেবে রেখেছিলাম বাবা মাকে কষ্ট দিয়ে কিছু করব না তাই কি করব বুঝতে পারলাম না ।অনেক ভাবলাম ।নিবিরের তখন কিছুই ছিল না,তাই সাহস করে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারল না ও । খুব কষ্টে কাটছিল আমাদের দিনগুলো । আমি নিজেকে বুঝালাম আমাকে শক্ত হতে হবে নিবিরকে বললাম ও যেন চিন্তা না করে, ও যা চায় তাই হবে । এর মধ্যে আমার বাসায় আমার সম্পর্কের ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেল। বাসা থেকে খুব প্রেসার দিল আমাকে বিয়ে করার ব্যাপারে । নিবির তখনও নিশ্চুপ । শুধু দেখা হলেই বলতো, ও জানে যেটা ওর সেটা কেউ কোনোদিন ওর কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবেনা।বুঝতাম ও কোনোভাবেই আমাকে ছেড়ে যাবে না ।ওকে দেখে কিছুটা হলেও সাহস পেতাম আমি । ওর বিশ্বাসের জোরেই কিনা জানিনা অনেক কষ্ট আর চেষ্টায় আমাদের বিয়েটা ঠিকই হল কিন্তু আমার বাবা মা একদমই খুশি ছিলেন না ,ওরা বিয়েটা মেনে নিলনা। আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল ওদের কথা চিন্তা করে। ঐসময়টাতে নিবির আমাকে অনেক বোঝাতো , বলতো তুমি দেখো আমি ঠিকি একদিন আম্মুদেরকে মানিয়ে ফেলব । আমাকে খুব অবাক করে দিয়ে নিবিরের অনেক সাধনা আর চেষ্টায় আম্মুরা একদিন সত্যিই বুঝল নিবিরের চেয়ে বেশি সুখে আমাকে আর কেউ রাখতে পারবে না । ওরা আমাদেরকে মেনে নিল ।এরপর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও নিবির আমার বাবামাকে অনাদর করেনি,ওর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় এতটুকু কমতি ছিল না কখনো , খুব তাড়াতাড়ি আমার বাবা মা যেন ওরই বাবা মা হয়ে গেল ।এখন মাঝেমাঝে মনে হয় আম্মুরা বোধহয় আমার চেয়ে ওকেই বেশি ভালবাসে ।এই একটা জায়গায় আমি সবসময় নিবিরের কাছে হেরে যাই ।সবাই ওকে অনেক অনেক বেশী ভালবাসে ,কেমন করে জেনো সবাইকে আপন করে নেয় আমার নিবির কিন্তু আমি জানি ও সবচেয়ে বেশি ভালবাসে আমাকে । ওর ভালবাসা এই ছ’বছরে এতটুকু কমেনি বরং বেড়েছে অনেক বেশি, ওকে যেন প্রতিদিন নতুন করে ভালবাসি আমি ,কিন্তু এইতো আর মাত্র কিছুদিন পর ও আমার চেয়েও বেশী ভালবাসবে অন্যএকটা মেয়েকে । দিনরাত এখন শুধু সেই সপ্নই ওর দু'চোখ জুড়ে।প্রতিদিন রাতে ও সপ্নে দেখে ফুটফুটে ছোট্ট একটা মেয়ে ওর কাধে চড়ে সারা ঘরময় ঘুরে বেড়াচ্ছে ।ওকে পাপাই বলে ডাকছে । ওর সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে আজ শুধু অপেক্ষা ...সেই নতুন অতিথির অপেক্ষায় মগ্ন আজ নিবির । অপেক্ষায় নবনী ,নিশাদ আর নিহানও ।

আজ নিবিরের জন্মদিন ।সকাল থেকে নিশাদ আর নিহান আমার সাথে কিচেনে দাড়িয়ে ওর পাপাই এর জন্য চকলেট কেক বানানো দেখেছে । আমাদের ছোট্ এই সংসারে প্রতিদিন ভালবাসা বাড়ে ।একটু একটু করে সাজানো এই রাজ্যে ছোট্টো এক রাজকন্যার সপ্ন দেখছি আজ আমরা সবাই মিলে ।...

আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন ।দোয়া করবেন আমার নিবির আর ওর অনাগত রাজকন্যার জন্য ।

লিখেছেন - গোগোলের বাবুই পাখি


স্ত্রী: আমার সাথে ১০ বছর সময় কাটানো তোমার কাছে কি?
স্বামী: (স্ত্রীকে খুশি করতে) আরে সেতো ১ সেকেন্ড মনে হয়েছে । চোখের পলকে কেটে গেল প্রিয়...
স্ত্রী: (খুশি হয়ে) আমার জন্য ১০,০০০ টাকা তোমার জন্য কি?
স্বামী: আরে সেতো ১ টাকার মত। কোন ব্যাপারই না।
স্ত্রী: (ততধিক খুশি হয়ে) তা জানু আমাকে ১০,০০০ টাকা দিতে পারবে এখন?
স্বামী: (গম্ভির হয়ে) দাড়াও এক সেকেন্ড পরে দেই।

প্রশ্ন ছিল আমার যোগ্যতা নিয়ে, আমি তোমার যোগ্য কিনা??
উত্তর টা ছিল না... 

একটা সময় ছিল যখন তোমাকে খুব চাইতাম...
তোমার কথায় অনেক কষ্ট পেতাম...
কষ্ট সহ্য করতে না পেরে দুচোখে বন্যা বইতো...
আর হাত জুড়ে থাকতো লাল তরলের প্রবাহ...

আজ সব বদলে গেছে...
আজ নিজেকে অন্য ভাবে চিনিয়েছি সবার কাছে...
আমার কাছে তোমার ফিরে আসার পথ আরও সংকীর্ণ করে দিলাম...

আগে চাইলেই আমার কাছে ফিরতে পারতে...
এখন আর তা হবার নয়...

এবার আমাকে খুজে বের করতে হবে...
খুজে পেলেও যে খুব বেশি কিছু হবে তা নয়...

এবার আমার কাছে ফিরতে হলে তোমাকে সেই যোগ্যতার প্রশ্নটার সামনে দাড়াতে হবে...

তুমি ফিরতে চাইলে, আমি তোমাকে ফিরিয়ে নেব কিনা জানি না...
তবে আমার চোখের পানির হিসেব আমি নেব...

সেদিনের থার্ড ক্লাস ছেলেটা আজ ফার্স্ট ক্লাস হয়ে যায় নি...
শুধু তোমাকে তার জীবন থেকে মুছে দিতে চেয়েছে...

এই থার্ড ক্লাস ছেলেটার জীবনে কিছু লেসনের দরকার ছিল যা তুমি দিয়েছে...
আমি কৃতজ্ঞ সে জন্য...

যতবার আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছি কোন না কোন ঝড় এসে আমাকে ফেলে দেয়...
এবার আর পড়ে জেতে চাই না...

তাই তোমার ফিরে আসার পথ অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছি...
তবু তোমাকে ফিরে পেতে ইচ্ছা করে...
তার একটাই কারন তোমাকে খুব ভালবাসি...
কেন ভালবাসি তা জানি না...

তোমার মত এত হিসেব করে আমি পথ চলতে জানি না... এত কারন ও আমার জানার দরকার হয় না...

শুক্রবার, ১ জুন, ২০১২


ভালবাসা কি জানেন ??


আচ্ছা আজকে আপনাদের একটা গল্প বলি অনেক আগের ঘটনা তাও আরেকবার বলি,
এক লোক রাতের বেলা বাড়ি ফিরেছে , সে প্রচুর পরিমানে মদ পান করে মাতাল অবস্থায় বাড়িতে ঢুকেই ভাংচুর শুরু করেছে, সবকিছু নষ্ট করেছে , তারপর বমি করে ফ্লোর নষ্ট করেছে, তার স্ত্রী তাকে পরিষ্কার করে বিছানায় শুয়ে দিয়েছিল , তার পর সব কিছু গুছ-গাছ করে তারা ঘুমাতে গেল 

পরের দিন যখন সকাল বেলা লোকটার ঘুম ভাংলো তার ধীরে ধীরে সব মনে পড়তে লাগলো আর তার মনের ভয় বারতে লাগলে যে তার স্ত্রী হয়তো তাকে অনেক বোকবে আর তার সাথে ঝগড়া করবে,
সে দোয়া করতে লাগলো যাতে তাদের সম্পর্কটা নষ্ট না হয় কারন তাদের ছোট একটা মেয়ে ও আছে ,

তার পর সে যখন উঠে বসলো দেখলো তার বালিশ এর সাথে একটা চিঠি, সে খুব ভয় পেয়ে গেলো সে ভাবলো হয়তো তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে কিন্তু সে চিঠিটা পড়ে বোকা হয়ে গেলো 
চিঠিতে লিখা ছিলো "জান, তোমার প্রিয় নাস্তা গুলো আমি সকাল সকাল উঠে বানিয়েছি, তুমি ঘুম থেকে উঠে খেয়ে নিও,রান্নার জন্য বাজার করতে হবে তাই আমি বাজারে এসেছি যত দ্রুত সম্ভব আমি বাজাড় শেষ করে তোমার কাছে ফিরে আসছি , আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি"

তার পর লোকটি তার মেয়ে কে ডাকলো আর জিজ্ঞেস করলো কাল রাতে কি হয়েছিলো ?
তার মেয়ে বলল , "বাবা তুমি কালকে কেমন যেন করেছ সব ভেঙ্গেছ, বমি করেছ , কাপড় নষ্ট করেছো তার পর তোমার শরীর অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল আর মা তোমার কাপড় খুলে দেবার সময় তুমি মাকে বলেছ, এই মেয়ে আমার থেকে দূরে থাকো আমি বিবাহিত , তার পর মা তোমাকে ধরে অনেকক্ষণ কেঁদেছিল "

এই হল ভালবাসা , একজন মানুষ যতোই অন্য মনা হয়ে থাকেন না কেন, ভালবাসার মানুষকে কখন ও ভুলা যায় না ! ♥ ♥

ভাল লাগলে শেয়ার করবেন এবং মন্তব্য জানাবেন । ধন্যবাদ

রবিবার, ২৭ মে, ২০১২

।। কাছে আসা... ভালোবাসা ।।


লিখেছেন-পুতুল হক



জীবনে ভালোবাসার অনেক গল্প, উপন্যাস পড়লেও নিজের জীবনে এমনি করে নিজেরই অজান্তে ভালোবাসা এসে বাসা বাঁধবে কখনো ভাবতেও পারিনি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অনেক আনন্দে দিন কাটতে লাগলো। সবই নতুন মুখ।আমার কোনো পুরোনো বন্ধুই এখানে আমার সাথে নেই।শুরুতেই একটা গ্রুপ করা প্রয়োজন হলো পড়াশোনার জন্য।একদিন আমি আর আমার এক নতুন বান্ধবী ক্লাস থেকে বের হয়ে নিচে নামতেই ক্লাসেরই দুটি ছেলের সামনে পরলাম। তারাও গ্রুপ করার ব্যাপারে কথা বলতে চায়।এদের আগে কখনো খেয়াল করিনি।আজই প্রথম পরিচয়। নাম জানার পালা শেষ হলো, পরিচয় হলো সেই মানুষটির সাথে যাকে আজ আমি অনেক ভালবাসি,জয় ।আমার বান্ধবীটি আর জয়ের পাশে দাড়ানো তার বন্ধুটিই কথা বলছিল বেশি। মুখোমুখি দাড়িয়ে আমরা দুজন...কথা শুনছিলাম আর মাঝে মাঝে চোখ তুলে একজন আরেকজন কে দেখছিলাম।


একটা অ্যাসাইনমেন্টের প্রয়োজনে প্রথম যেদিন জয় আমাকে ফোন দিল সেদিন ২ মিনিটের বেশি কথা হয়নি। কিন্তু মনের মাঝে একটা ভালোলাগা তৈরি হতে লাগলো।ক্লাসে ওর সাথে আমি কথাই বলতে পারতাম না। কেমন একটা লজ্জা ঘিরে ধরতো আমাকে।ওর চোখে চোখ পড়লে চোখ নামিয়ে নিতে হতো।মনে হতো ওই চোখে কি যেন আছে...আমাকে কি যেন বলতে চায়।বন্ধুদের ছাড়া একা ওর সাথে কথা বলার সাহস তখনো হয়নি। সবাই একসাথে থাকলে কথা বলতে পারতাম, ঝগড়া করতাম আর একজন আরেকজন কে পচাতাম।ধীরে ধীরে শুরু হলো রাত জেগে কথা বলা।প্রথম দিকে আমি ওর ফোনের জন্য অপেক্ষা করতাম, আমি ফোন করলে জয় সেটা কিভাবে নেয় তা ভেবেই ফোন করা হতোনা। ও আমাকে ফোন করতো আর আমরা দুজন হারিয়ে যেতাম এক অজানা দেশে।অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলতো জয়।হাজার হাজার নাম দিত আমার আর সেইসব নামে ডাকতো। পৃথিবীর যত ভালোলাগা এসে ভর করতো আমাদের দুজনকে।এ এক অন্য রকম ভালোলাগা, যেখানে কোন চাওয়া পাওয়া নেই। অনেক ইচ্ছে হত ওর সাথে ক্লাসের ফাকে কিছুটা সময় কাটাই কিন্তু তখনো হয়ে ওঠেনি।


দেখতে দেখতে প্রায় ৭/৮ মাস কেটে গেল। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে একদিন রাতে জয় আমাকে বললো ও আমার সাথে দেখা করতে চায়।আর আমিও রাজি হয়ে গেলাম। সেদিন ছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। সকাল ১০ টায় আমাদের দেখা করার কথা কিন্তু ওর কিছু কাজ ছিল বলে আসতে একটু দেরি হয়েছিল।আমি ওর বন্ধু নাকি অন্য কিছু সেই প্রশ্ন সেদিন মাথায় আসেনি। আমি শুধু প্রতিটি মুহুর্ত হৃদয় দিয়ে অনুভব করছিলাম।ওর পাশে বসে বৃষ্টি দেখার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের...আর হঠাৎ সেদিন আমার সেই সুযোগটাও হয়ে গিয়েছিল।বৃষ্টি দেখা, গল্প করা আর একজন আরেকজনের হাতে আঁকাআকি করে কখন যে বিকেল হয়ে গেছে টেরই পাইনি।ততদিনে জয় আমার বাসার কাছাকাছি একটা বাসা ভাড়া নিয়েছে। তাই সেদিন একসাথে রিকশা করে বাসায় ফিরলাম দুজনে।কিন্তু মনটা খুবই খারাপ হল...কালই জয় গ্রামের বাড়ি চলে যাবে। ভালোলাগার মুহুর্তগুলো এত তাড়াতাড়ি কেন শেষ হয়ে যায়? সেই ঈদটা আমাদের খুবই ভাল কাটলো।সারাক্ষণ আমরা ফোনে কথা বলেছি আর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছি।এতদিন আমরা 'তুই' সম্বোধনে কথা বলতাম।কিন্তু একসময় বুঝতে পারলাম মনের অজান্তে আমরা 'তুমি' তে চলে এসেছি।আমি জয়কে যখন প্রশ্ন করলাম আমরা কেন 'তুমি' করে বলছি তখন ও মন খারাপ করে বললো তোমার খারাপ লাগলে বলতে হবেনা।সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমি জয়কে তুমি সম্বোধন করছি।


ছুটির পরে প্রথম দিন ক্লাস শেষ করে দুজনে একসাথে বাসায় ফিরলাম।বাসায় ঢুকতেই জয় আমাকে ফোন দিয়ে বললো বের হতে। প্রথমে না করলেও শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে গেলাম।সেইদিন প্রথম আমরা ধানমন্ডি লেকে গেলাম, দুজনে বোটে করে বেশ খানিকটা সময় কাটালাম।একটা খাবারের দোকানে ঢুকলাম কিন্তু ওর একটাই কথা খাইয়ে দিতে হবে নইলে খাবেনা। কি আর করা একটুখানি মুখে তুলে দিলাম।এরপর প্রায়ই আমরা ক্লাস শেষে কখনো লেকে, কখনো বসুন্ধরায় কখনো অন্য কোথাও ঘুরতে যেতাম. এভাবেই কেটে যেতে লাগলো দিন।কিন্তু নিজের আবেগ কখোনই জয়ের কাছে প্রকাশ করতে চাইতাম না।ওর সব প্রশ্নের একটাই উত্তর ছিল আমার কাছে...আমি ওর খুব ভালো বন্ধু যে সব সময় ওর পাশে থাকবে। তবুও আস্তে আস্তে এ কোন মায়ার বাঁধনে জড়াতে লাগলাম নিজেও জানিনা।বৃষ্টির দিনে রিকশায় করে দুজনে ভিজতে ভিজতে চলে যেতাম লেকে, রংধনু আর প্রজাপতির রঙ্গিন পাখার রং দিয়ে রাঙ্গাতে লাগলাম জীবন।কথা, গান আর কত মান অভিমানে বাঁধা পরতে লাগলাম আমরা। আমার ওপরে জয়ের অধিকার তাই দিন দিন বেড়েই চলেছে। বন্ধুত্ব কি তবে ভালোবাসায় রূপ নিচ্ছে? কিন্তু জয়ের এই ভালবাসার ডাকে আমি সাড়াও দিতে পারছিলাম না।


অন্য সবার মত স্বাভাবিক জীবন আমার নয়। আমি একটু অসুস্থ্য...থ্যালাসিমিয়া আছে আমার..এক কথায় জটিল অসুখ। সেই কথা অবশ্য এতদিনে জয় কে বলা হয়ে গেছে। তাই একথা ও আর শুনতে রাজি নয়। এতদিন আমি যে স্বপ্নরাজ্যে ভেসে বেড়াচ্ছিলাম তার থেকে বাস্তব জীবন অনেক কঠিন। কিন্তু জয়কে আমি কিছুতেই সে কথা বোঝাতে পারিনা।ওর কথা ভেবেই ওর কাছ থেকে দূরে যেতেও পারিনা।ভালোবাসার সাথে সাথে একে অপরের প্রতি যে দায়িত্ব, কর্তব্য আর চাওয়া-পাওয়া জন্মে তা কি আমি ঠিকমত পালন করতে পারব কিনা সেই ভয় মনে উঁকি দিতে লাগলো।ছোটোবেলা থেকে আব্বু আম্মু কে আমার জন্য যে কষ্ট করতে দেখেছি, আর কাউকে নতুন করে সেই কষ্টের ভাগীদার করতে চাইনি।তাই ওর কাছ থেকে দূরে সরে আসার চেষ্টা করলাম। যেখানে নিজের জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই সেখানে অন্য একজনকে আমি ভালোবাসার নিশ্চয়তা কিভাবে দিব? কিন্তু যখনি মনে হয় জয় আমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবে, কে ওর সব কিছুর খেয়াল রাখবে তখন আর নিজেকে সামলে রাখতে পারিনা।কারন আমি জানি ও আমাকে প্রচন্ড ভালবাসে। 


একদিন জয় আমাকে বললো ওর সাথে দেখা করতে।সেদিন কথা বলার এক পর্যায়ে জয় জানতে চাইলো আমি ওকে ভালোবাসি কিনা।নিজের সব অপুর্নতা, সব ভয় ভুলে গিয়ে মাথা নেড়ে সায় দিলাম।তখন জয় বললো তাহলে বলো তুমি আমাকে ভালবাসো। ততক্ষণে মনে মনে হাজার বার এ কথা বলা হয়ে গেছে।মুখেও বলতে হলো। সেদিন ছিল ৭ই ফেব্রুয়ারী। সে বছর প্রকৃ্তির সাথে সাথে আমার জীবনেও ফাগুন এলো। নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করলাম, নতুন রূপে চিনতে শিখলাম। যে মানুষটি আমার সাদাকালো জীবন কে রঙ্গিন করে দিল তার সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিলাম সারাজীবনের জন্য।


কিন্তু নিয়তি আর কাকে বলে? ভালবাসার যে সূর্য এসে মনের আকাশ টা আলোকিত করে দিল তার পরশ গায়ে মাখতে না মাখতেই বিরহের মেঘ এসে তা ঢেকে দিল। আমার আব্বু বেশ কয়েক বছর হলো দেশের বাইরে থাকে।তার চেষ্টাতেই আমার আর আম্মুর ভিসা হয়ে গেল।আমার কোন ভাই-বোন না থাকায় আর আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য বলেই আমাকেও আম্মুর সাথে পাড়ি জমাতে হলো সুদুর প্রবাসে।অনেক দূরে রেখে এলাম আমার সেই প্রিয় মানুষটিকে।তাড়াতাড়ি ফিরে আসব...শুধু এতটুকুই বলতে পেরেছি্লাম তাকে।বছর পার হতে লাগলো কিন্তু এতদিনে আমাদের ভালোবাসা একটুও কমেনি বরং আমরা আরো গভীরভাবে ভালোবাসতে শিখেছি পরস্পরকে।নিজেদের কাজের ফাঁকে যখন কথা হতো তখন ভালোবাসার সেই উষ্ণ পরশ আমরা খুঁজে পেতাম।আমরা শুধু অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছি সেই দিনটির জন্য যেদিন আমরা আবার একসাথে বৃষ্টিতে ভিজতে পারব, রংধনু দেখব। রিকশা করে গন্তব্যহীন ঘুরে বেড়াব।হাত ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকব আর গল্প করব।অপেক্ষা আর স্বপ্নের জাল বোনা।আমার অসুস্থতার জন্য ওর পরিবার আমাকে মেনে নিতে চাচ্ছিলো না। এট নিয়ে প্রথম দিকে একটু ঝামেলা হয়। দীর্ঘ ৩ বছর পর আমি বাংলাদেশে যাই এবং সেখানেই দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হয়।বিয়ের পর আমরা দুজনেই এখন প্রবাসী।


ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে আমার সুখের সংসার সাজিয়েছি, এর চেয়ে বেশি আনন্দের আর কি হতে পারে। একটু একটু করে নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছি অনাগত নতুন মানুষটির জন্য।মাঝে মাঝে মনে হয় এই সুখের জন্ম যেন এই পৃথিবীতে নয়, যেন অন্য কোন ভূবনে

যদি কেউ তোমাকে ছেড়ে যেতে চায় তবে তাকে যেতে দাও।তোমার নিয়তি কখনোই তার সাথে বাঁধা নয়
যে তোমাকে ছেড়ে চলে যায়।
কারো চলে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে তোমার জীবনের এখানেই
সমাপ্তি, তোমার গল্পে তাদের অংশের সমাপ্তি ঘটেছে মাত্র।
আর কারো জন্য তোমার গল্পটা কখনোই থেমে থাকবে না।। —

বুধবার, ১৬ মে, ২০১২

প্রিয় মানুষটিকে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপহার কি জানেন? সেটা হল ``সময়``
এই উপহারের অর্থ হচ্ছে, আপনি সেই মানুষটিকে নিজের জীবনের একটা অংশ দিয়ে দিলেন যা আর কখনো ফেরত নেওয়া কিংবা ফেরত দেওয়া সম্ভব না । এর চেয়ে সুন্দর উপহার কি আর কিছু হতে পারে ♥ !

মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১২

"আমি মানুষকে ভালবাসতে না বলে যুদ্ধ করতে বলি কারণ যুদ্ধে হয় আপনি বাঁচবেন না হয় মরবেন।

কিন্তু ভালবাসাতে
না পারবেন বাচতে; না মরতে।" ~ এডলফ হিটলার।

শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১২

অবাক লাগে

অবাক লাগে

আসিফ মামুন

অসৎ কাজের ধুম পড়েছে ধুম
দিন-দুপুরে লোক হয়ে যায় গুম।

মন্ত্রী খোঁজে কালো টাকার সুখ
চামচা-পিএস বাঁধহারা উল্লুক।

আলুর দোষে ফাঁসছে অনেকজন
জীবন বিনাশ নয়তো মুক্তিপণ।

দেশ হারালো শান্তি-ন্যায়ের কাল
অবাক লাগে ভাবতে ডিজিটাল।
২৪/০৪/১২ খ্রি.

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১২

কান্না

কান্না। মানুষের একান্ত সময়ের একান্ত অনুভূতি।
একে এড়িয়ে বাঁচা যায় না। আমাদের কাঁদতেই হয়।
এটাই সত্য। তবু অন্যের কান্না দেখে খারাপ লাগে।
যদিও জানি-কান্নাও এক ধরনের ঔষধি।
কান্নার সময়ে শান্তি লাভ হয়, কান্নার পরে প্রশান্তি আসে।
একেক জন একেক কারণে কাঁদে। তবে সেই সময়ের অসহায় অনুভূতিটা মনে হয় একই।

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১২

Golpo

একাটা ছেলে আর একটা মেয়ে একে অপরকে খুব ভালোবাসতো
দুর্ভাগ্যবশত মেয়েটি একটি দুর্ঘটনাই মারা যায়
ছেলেটি অনেক কষ্ট পায়
সে কোনোভাবেই তার অশ্রু থামাতে পারে না
ছেলেটি দিনরাত মেয়েটিকে মনে করে আর কাঁদে
অনেকেই সহানুভূতি দেখায়ছেলেটিকে বোঝানোর চেষ্টা করে
কিন্তু কোন যুক্তি এ তার কান্না থামাতে পারে না
এক রাতে সে একটা স্বপ্নে দেখে
সে দেখে তার প্রিয়তমা অনেকগুলো মেয়ের সাথে স্বর্গের বাগানে হাঁটছে
হঠাৎ সে লক্ষ্য করলো, সব মেয়ের হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি রয়েছে, শুধু তার প্রিয়তমার হাতের মোমবাতিটি জ্বলছে না

সে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো তোমার হাতের মোমটি নেভানো কেন?
মেয়েটি বলল, আমি যতবার আমার মোমবাতিটি জ্বালাই তোমার অশ্রু এর উপর পড়ে মোমটি নিভিয়ে দেয়
দয়া করে তুমি আর কেদনাতুমি কাঁদলে আমারও যে কষ্ট হয়...............

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

Jocks

একটি ছেলে ও একটি মেয়ে একসাথে বসে আছে.
হঠাৎ ছেলেটি একটা গোলাপ ফুল বের করল।
মেয়েটি বললঃ হুমম !! কার জন্যে এটা ??
ছেলেটি হাসল... আর বললঃ এটা আমার রাজকন্যার জন্যে কিন্তু... আমি তাকে এটা দিতে পারতেছি না ... :(
মেয়েঃ চেষ্টা করো ! অন্তত সে তো খুশি হবে ...
ছেলেটি উঠে দাঁড়াল... ও হেঁটে চলে গেল...
মেয়েঃ ওই !! তোমার গোলাপ... রেখে গেলা তো !..
ছেলেঃ আমি তোমাকে বলেছিলাম... এটা আমার রাজকন্যার জন্য... !! ♥ ♥ ... :) :) :)

সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২

টিউব–লাইট, তোকে অনেক ভালবাসি

ভালবাসার ডাকপিয়ন (the cafe of love)

লেখক- (আধারের যাত্রী)

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের ক্লাসে যেদিন তুলিকে দেখি সেদিনই আমার ওকে ভালো লেগে যায় । তারপর থেকে সেই ভালো লাগা দিন দিন যেন বেড়েই যাচ্ছিলো । তুলির বয়ফ্রেন্ড আছে জানা সত্ত্বেও আমি ওর প্রতি আমার অনুভূতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না । তুলি ওর হাত দিয়ে যদি কখনো কোন জিনিস আমাকে দিতো , তাহলে কেন জানি সেটা ফেলে দিতে ইচ্ছা হতো না ।
-একদিন সব বন্ধুদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফুচকার দোকানে আড্ডার এক পর্যায়ে তুলি আমার দিকে দুষ্টামি করে একটা মোবাইলের বিজ্ঞাপনের কাগজ ছুড়ে দেয় । সেই কাগজটা আমি এখনো যত্ন করে আমার মানিব্যাগে রেখে দিয়েছি ।
-আমার পড়ার টেবিলে একটা মোজোর কোল্ড ড্রিংকসের বোতল সাজানো আছে । এই বোতলটা তুলির হাতে কেনা । তাই , বোতলটা ফেলে দিতে ইচ্ছা করেনা ।
-তুলি একবার আমার হাতে দুষ্টামি করে দুইটা ফুলের পাপড়ি দিয়েছিলো । সেই পাপড়ি দুটো এখনো মানিব্যাগে রেখে দিয়েছি ।
-আমি মোবাইলের অন্য সব মেসেজ ডিলিট করতে পারি , কিন্তু তুলির যে কয়টা মেসেজ আছে সেই মেসেজগুলো কেন জানি ডিলিট করতে পারিনা .........

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কোন একটা কারনে তুলির তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ হয়ে যায় ।
তারপর থেকে আমার আরও বেশি ইচ্ছা করে এই একাকি মেয়েটার পাশে থেকে মেয়েটার একাকীত্ব দূর করে দিতে ।
তুলিকে নিয়ে আমি কয়েকদিন আগে একটা ছোট গল্প লিখি । গল্পটা লিখে ডিপার্টমেন্টের সবাইকে গল্পটা পড়তে দেই । সবাই গল্পটা পড়ে বুঝতে পারে যে আমি তুলির প্রেমে পরেছি । কিন্তু যার জন্য এত কষ্ট করে গল্পটা লিখেছিলাম সেই তুলি গল্পটা পড়ে কিছুই বুঝতে পারলো না । তুলির একটা সমস্যা হল ও সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝতে পারে । টিউব-লাইট যেমন একটু দেরিতে জ্বলে ওঠে , তুলিও সেইরকমভাবে সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝতে পারে ।

ক্লাসের সবাই আমাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করতো । হয়তো এই কারণেই তুলি কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছিল ।
গত মাসের ২৬ তারিখে তুলি আমাকে গল্পটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে ।
-আচ্ছা , তুই যে তোর গল্পটাতে একটা মেয়ের বর্ণনা দিলি সেই মেয়েটা কে ?
-বলা যাবে না ।
-না , তোকে আজ বলতেই হবে । মেয়েটা কি আমাদের ডিপার্টমেন্টের কেউ ?
-হতেও পারে আবার নাও হতে পারে ।
-ভণিতা করা বাদ দে । সরাসরি মেয়েটার কথা বল ......
-আচ্ছা , তুই কি সত্যিই কিছু বুঝতে পারিস নাই নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করছিস ?
-তুই তো জানিস , আমি টিউব–লাইটের মতো । সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝি ।
-আসলেই কিছু বুঝিস নাই ?
-সত্যি আমি কিছুই বুঝি নাই । বলনা প্লিজ । মেয়েটা কে ?
তখন আমি মানিব্যাগ থেকে ফুলের পাপড়ি দুইটা তুলির হাতে দিয়ে বললাম :
-দেখতো এই পাপড়ি দুইটা চিনতে পারিস নাকি ?
-এই পাপড়ি আমি চিনবো কিভাবে ? তোর গল্পের মেয়েটা তোকে দিয়েছে , তাই না ?
-তুই আসলেই একটা টিউব–লাইট । এতক্ষন ধরে বুঝাচ্ছি কিছুই বুঝতে পারছিস না ।
-আচ্ছা, শুধু এততুকু বল যে , মেয়েটা কি আমাদের ডিপার্টমেন্টের কেউ ?
-হুম ।
কথাটা শোনার পর তুলি ডিপার্টমেন্টের সবগুলো মেয়ের নাম বলা শুরু করলো ।
-মেয়েটা কি মাইশা ?
-না ।
-তাহলে সেতু ?
-না ।
এইভাবে বলতে বলতে তুলি সবার নাম বলল , কিন্তু নিজের নাম বলল না ।
-সবার নামই তো বললাম । কেউই তো বাকি নেই । তাহলে ?
-গাধা , নিজের নাম বলছিস ?
কথাটা শোনার পর তুলি হতভম্বের মতো দাড়িয়ে গেলো । আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না ।
-এইবার বুঝতে পেরেছিস ?
-হুম । রিকশা ডাক দে ।
আমি রিকশা ডাক দিলাম । সারা রাস্তায় ও আর কোন কথা বলেনি । শুধু জিজ্ঞেস করেছিলো , আমি ওকে কতদিন ধরে পছন্দ করি ......
গতকাল তুলির মতামত জানতে পারলাম ।

আসলে ও আমাকে কখনোই ওইভাবে দেখেনি । সব সময় একটা ভালো বন্ধু হিসেবেই আমাকে ভেবে এসেছে । আর এই বন্ধুত্তের মাঝে অন্য কিছু চিন্তা করা ওর পক্ষে কখনোই সম্ভব না ।
কথাটা শোনার পর চোখ দিয়ে পানি এসে গিয়েছিলো । অনেক কষ্টে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি । ও আমাকে ভালবাসুক আর নাই বাসুক আমিতো ওকে ভালবাসি । সেটাই আমার জন্য অনেক । আর আমি যাতে আমার এই প্রিয় টিউব–লাইটটাকে আজীবন ভালবেসে যেতে পারি সেই চেষ্টাই করবো ।
I love you Tube-Light …….. আমি তোকে সত্যিই অনেক , অনেক , অনেক ভালবাসি

টিউব–লাইট, তোকে অনেক ভালবাসি

ভালবাসার ডাকপিয়ন (the cafe of love)

লেখক- (আধারের যাত্রী)

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের ক্লাসে যেদিন তুলিকে দেখি সেদিনই আমার ওকে ভালো লেগে যায় । তারপর থেকে সেই ভালো লাগা দিন দিন যেন বেড়েই যাচ্ছিলো । তুলির বয়ফ্রেন্ড আছে জানা সত্ত্বেও আমি ওর প্রতি আমার অনুভূতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না । তুলি ওর হাত দিয়ে যদি কখনো কোন জিনিস আমাকে দিতো , তাহলে কেন জানি সেটা ফেলে দিতে ইচ্ছা হতো না ।
-একদিন সব বন্ধুদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফুচকার দোকানে আড্ডার এক পর্যায়ে তুলি আমার দিকে দুষ্টামি করে একটা মোবাইলের বিজ্ঞাপনের কাগজ ছুড়ে দেয় । সেই কাগজটা আমি এখনো যত্ন করে আমার মানিব্যাগে রেখে দিয়েছি ।
-আমার পড়ার টেবিলে একটা মোজোর কোল্ড ড্রিংকসের বোতল সাজানো আছে । এই বোতলটা তুলির হাতে কেনা । তাই , বোতলটা ফেলে দিতে ইচ্ছা করেনা ।
-তুলি একবার আমার হাতে দুষ্টামি করে দুইটা ফুলের পাপড়ি দিয়েছিলো । সেই পাপড়ি দুটো এখনো মানিব্যাগে রেখে দিয়েছি ।
-আমি মোবাইলের অন্য সব মেসেজ ডিলিট করতে পারি , কিন্তু তুলির যে কয়টা মেসেজ আছে সেই মেসেজগুলো কেন জানি ডিলিট করতে পারিনা .........

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কোন একটা কারনে তুলির তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ হয়ে যায় ।
তারপর থেকে আমার আরও বেশি ইচ্ছা করে এই একাকি মেয়েটার পাশে থেকে মেয়েটার একাকীত্ব দূর করে দিতে ।
তুলিকে নিয়ে আমি কয়েকদিন আগে একটা ছোট গল্প লিখি । গল্পটা লিখে ডিপার্টমেন্টের সবাইকে গল্পটা পড়তে দেই । সবাই গল্পটা পড়ে বুঝতে পারে যে আমি তুলির প্রেমে পরেছি । কিন্তু যার জন্য এত কষ্ট করে গল্পটা লিখেছিলাম সেই তুলি গল্পটা পড়ে কিছুই বুঝতে পারলো না । তুলির একটা সমস্যা হল ও সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝতে পারে । টিউব-লাইট যেমন একটু দেরিতে জ্বলে ওঠে , তুলিও সেইরকমভাবে সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝতে পারে ।

ক্লাসের সবাই আমাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করতো । হয়তো এই কারণেই তুলি কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছিল ।
গত মাসের ২৬ তারিখে তুলি আমাকে গল্পটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে ।
-আচ্ছা , তুই যে তোর গল্পটাতে একটা মেয়ের বর্ণনা দিলি সেই মেয়েটা কে ?
-বলা যাবে না ।
-না , তোকে আজ বলতেই হবে । মেয়েটা কি আমাদের ডিপার্টমেন্টের কেউ ?
-হতেও পারে আবার নাও হতে পারে ।
-ভণিতা করা বাদ দে । সরাসরি মেয়েটার কথা বল ......
-আচ্ছা , তুই কি সত্যিই কিছু বুঝতে পারিস নাই নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করছিস ?
-তুই তো জানিস , আমি টিউব–লাইটের মতো । সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝি ।
-আসলেই কিছু বুঝিস নাই ?
-সত্যি আমি কিছুই বুঝি নাই । বলনা প্লিজ । মেয়েটা কে ?
তখন আমি মানিব্যাগ থেকে ফুলের পাপড়ি দুইটা তুলির হাতে দিয়ে বললাম :
-দেখতো এই পাপড়ি দুইটা চিনতে পারিস নাকি ?
-এই পাপড়ি আমি চিনবো কিভাবে ? তোর গল্পের মেয়েটা তোকে দিয়েছে , তাই না ?
-তুই আসলেই একটা টিউব–লাইট । এতক্ষন ধরে বুঝাচ্ছি কিছুই বুঝতে পারছিস না ।
-আচ্ছা, শুধু এততুকু বল যে , মেয়েটা কি আমাদের ডিপার্টমেন্টের কেউ ?
-হুম ।
কথাটা শোনার পর তুলি ডিপার্টমেন্টের সবগুলো মেয়ের নাম বলা শুরু করলো ।
-মেয়েটা কি মাইশা ?
-না ।
-তাহলে সেতু ?
-না ।
এইভাবে বলতে বলতে তুলি সবার নাম বলল , কিন্তু নিজের নাম বলল না ।
-সবার নামই তো বললাম । কেউই তো বাকি নেই । তাহলে ?
-গাধা , নিজের নাম বলছিস ?
কথাটা শোনার পর তুলি হতভম্বের মতো দাড়িয়ে গেলো । আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না ।
-এইবার বুঝতে পেরেছিস ?
-হুম । রিকশা ডাক দে ।
আমি রিকশা ডাক দিলাম । সারা রাস্তায় ও আর কোন কথা বলেনি । শুধু জিজ্ঞেস করেছিলো , আমি ওকে কতদিন ধরে পছন্দ করি ......
গতকাল তুলির মতামত জানতে পারলাম ।

আসলে ও আমাকে কখনোই ওইভাবে দেখেনি । সব সময় একটা ভালো বন্ধু হিসেবেই আমাকে ভেবে এসেছে । আর এই বন্ধুত্তের মাঝে অন্য কিছু চিন্তা করা ওর পক্ষে কখনোই সম্ভব না ।
কথাটা শোনার পর চোখ দিয়ে পানি এসে গিয়েছিলো । অনেক কষ্টে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি । ও আমাকে ভালবাসুক আর নাই বাসুক আমিতো ওকে ভালবাসি । সেটাই আমার জন্য অনেক । আর আমি যাতে আমার এই প্রিয় টিউব–লাইটটাকে আজীবন ভালবেসে যেতে পারি সেই চেষ্টাই করবো ।
I love you Tube-Light …….. আমি তোকে সত্যিই অনেক , অনেক , অনেক ভালবাসি

শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

ভালবাসা চোখের পাপড়ির মত...


ভালবাসা চোখের পাপড়ির মত...

চোখের পাপড়ি যখন তার স্থানে থাকে খুব সুন্দর লাগে...
ভালবাসাতেও তেমনি, দুজন মানুষ, এক জন আরেক জনের কাছাকাছি থাকে তখন তাদের সময় স্বপ্নের থেকেও সুন্দর কাটে...


চোখের পাপড়ি যখন ঝরে গিয়ে চোখে পড়ে তা শুধু কষ্টই দেয়...
তেমনি ভালবাসাও ভেঙ্গে গেলে তা শুধু কষ্টই দেয়, অনেক কাঁদায়...

বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১২

Happy Birthday Surovi.......




Happy Birthday to u..
Happy Birthday to u...
Happy Birthday Dear SUROVI....

Happy Birthday to u.........
          
               From The Heart of TEAM BICL

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১২

“মা”


“মা”

‎** অসাধারণ একটি পোস্ট**

গল্পটা প্রথম যখন পড়ি নিজের অজান্তে চোখে পানি এসে গিয়েছিল,আমি কেঁদেছিলাম, আপনিও না কেঁদে পারবেন না বলেই আমার বিশ্বাস :'(

'আমি কি আমার ছেলেকে কোলে নিতে পারি?'
সদ্য মা হওয়া সুখী এক মহিলা ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলেন।কিন্তু যখন তিনি তার সন্তানকে কোলে পেলেন তার চোখ ফেটে এল জল।তার শিশুটি যে আর সবার মত স্বাভাবিক না।শিশুটি জন্ম নিয়েছে দুটি কান ...ছাড়াই।
বছর গেল।দেখা গেল যে কান না থাকলেও ছেলেটি সবার মতই স্বাভাবিকভাবে শুনতে পায়। শুধু কান দুটির শারীরিক উপস্থিতি ছিল না।একদিন স্কুল থেকে বাসায় এসে মায়ের কোলে পড়ে কাঁদতে থাকল ছেলেটি।'স্কুলে ছেলেরা আমাকে কানহীন দানব বলে ক্ষেপিয়েছে',ছেলের কষ্টের কথা শুনে মাও কাঁদতে লাগলো।
হাতে গোনা কয়েকজন ভালো বন্ধু পেয়ে গেল সে,তাদের সাথেই থাকতো স্কুলের সময়টা।সাহিত্য আর মিউজিকে ক্লাসে আর সবার চেয়ে ভালোও করলো।
ফ্যামিলি ডাক্তার একবার একটি সুখবর নিয়ে আসলেন।তিনি বললেন যে ছেলের কান তিনি প্রতিস্থাপন করতে পারবেন,যদি কোনো সুস্থ মানুষের দুটি কান তাকে যোগার করে দেয়া হয়।অনেক খোঁজাখুজি করেও কাউকে পাওয়া গেল না কান দান করার জন্য।পুরো পরিবারের মন খারাপ।ছেলের মুখের দিকে তাকাতে পারছিল না বাবা-মা।
অবশেষে একদিন বাবা ছেলেকে সুখবরটি দিলেন।একজনকে পাওয়া গেছে যে তার কানদুটি দান করতে রাজি হয়েছে,কিন্তু শর্ত একটাই তার পরিচয় গোপন রাখতে হবে।
নির্দিষ্ট দিনে অপারেশন হলো।ছেলে কান ফিরে পেল,দুনিয়াতে এত সুখী সে নিজেকে কোনোদিনই ভাবেনি।
কিন্তু কার অবদানে সে আজ সুখী?এটা যে তাকে জানতেই হবে।তাকে একটা ধন্যবাদও যদি না দিতে পারে তাহলে যে তার জীবনই ব্যর্থ।কিন্তু বাবা জানাতে রাজী নয়।ছেলেটি খাওয়াদাওয়া বন্ধ দিল,শর্ত দিল,তাকে সেই মহানুভব ব্যাক্তির সাথে দেখা না করালে সে খাবে না।বাধ্য হয়ে তার বাবা তাকে জানাতে রাজী হলো।

সেই দিনটি ছিল ছেলের জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।বাবা তাকে তাদের বেডরুমে নিয়ে গেল এবং তার মায়ের ঘন কালো চুলগুলো দুহাত দিয়ে সরিয়ে দিল।ছেলেটি দেখলো যে তার মায়ের কানদুটি নেই।
ছেলেটি অঝরে কাঁদতে লাগলো,'কিন্তু মা,কোনোদিন নিজের এক টুকরো চুলও কাটতে দাওনি তুমি।'
আসলে প্রকৃত সৌন্দর্য বাহ্যিক নয়,প্রকৃ্ত সৌন্দর্য থাকে হৃদয়ে।প্রকৃত সম্পদ সেটা নয় যা দেখা যায়,প্রকৃ্ত সম্পদ সেটাই যা দেখা যায় না।

ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো, তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড় ?



ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো, তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড় ?

হে আকাশ
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকা প্রতিটি নিঃশ্বাস
পাবে কিনা জীবনে তার কাছ থেকে কোন আশ্বাস
ভালবাসতে হলে প্রয়োজন কতটুকু বিশ্বাস!

তোমাকে পাওয়াই ছিল যার ব্রত
তার মনে আজ তোমার তরে কত ক্ষত
আকাশ দেখে
বাতাস দেখে
শুধু তুমি দেখ না!
তাই বলে কি সে কষ্ট পাবে না?

চোখে কি কোন অশ্রু আসবে না, তার
ভালবাসি বলেছে তোমায় কত বার
ঠিক করে কি বলতে পারবে একবার?

জানি তা তোমার সাধ্য নয়
তবে একটা কথা জেনে রেখো
তার ক্রন্দন দেখে
বাতাস হু হু করে কেঁদে উঠে
আকাশ কেমন জানি অন্ধকার হয়ে যায়
রাত্রির শেষ লগ্নে
ফজরের আযান পড়বে যখন
পাখিগুলো ক্রন্দনের ফলে নীড়ে থাকে না তখন,
বেরিয়ে আসে যখন
নতুন দিনের শুরু হয়ে যায় তখন
ভাবনা শেষ হয় না তার অনুরণন!

তোমার শুরু হয় যখন শুভ কোন সকাল
সারা রাত ভাবতে ভাবতে ঘুমাতে যাবে এটাই তার কপাল!!

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১২

এই ছেলেগুলি কাঁদছে কেন জানেন?

"এই ছেলেগুলি কাঁদছে কেন জানেন?
-যা ভাবছেন তা না। ওরা হারতে অভ্যস্ত। এরচেয়ে ভালো খেলেও হেরেছে তারা।
-না। দশ-বিশ হাজার টাকা বোনাস হাতছাড়া হবার জন্যও কাঁদেনি ওরা।
-টুর্নামেন্টের ট্রফিটা না ধরতে পারার জন্যও না। ওরা জানে সামনে আরো অনেক ট্রফি ওদের পায়ে গড়াবে।
ওরা কাঁদছে আমার-আপনার জন্য। একটুর জন্য আমাদের স্বপ্নটার বাস্তবরূপ দিতে পারল না বলে।
ওরা কাঁদছে- যে ছোট শিশুটা খেলা না বুঝেই 'বাংলাদেশ' বলে চিৎকার করছিল তাকে আরেকটু চিৎকার করার উপলক্ষ এনে দিতে না পারার জন্য। আপনি কাঁদছেন পাকিস্তানের কাছে হারার জন্য। আর ওরা কাঁদছে আপনি কাঁদছেন বলে।"
 সালাম তোমাদের

সেই তুমি

সেই তুমি
হাতে হাত রেখে
পড়ন্ত বিকেলে
বৃষ্টি ঝরালে
শুকনো মরুভূমির মাঝে।

এই আমি সেই আমি
কত দুঃখ কত স্মৃতি
মনে পড়ে আজ,
অগোছালো জীবন
অন্ধ পথিকের মতন
চলছিল হৃদয় পুঁড়ে।

অনেকের অনেক কথা
হৃদয় ডোবে অশ্রুজলে
মনে পড়ে আজ
জীবনের শত ক্ষত চিহ্ন গুলো।

সেই তুমি
খেয়ালী আকাশের বুকে
ঝড়ে যাওয়া জীবনটাকে
সাজালে নতুনরূপে
পাল তোলা আবেগে।

কতদিন স্বাদ নেইনি তার
বসেছি শতবার
সন্ধ্যা তাঁরার মতন
ভেসে ওঠে সরল সেই মুখ
এই আমি আজ তোমারি কারণে।

ফুলের মতন গড়েছি জীবন
জমিয়ে শত ব্যাকুলতা
অবুঝ এমন মানে না বারণ
আনমনে জেগে ওঠা সেই ভুল।

হারাতে চাই না আর
যা চাইলেই আসবে না
চিরসুখ ক’জনার কপালে রয়,
শত কষ্টের অল্প সুখ
বাঁচাতে শেখায়।

সেই তুমি
খেয়ালী নয় আপন মনে
বাঁধবে ঘর আমার বুকে
দুঃখ কষ্ট জয় করে
থাকব আমরা মহাসুখে।

হতাশ নই

হতাশ নই কিন্তু খেলোয়াড়দের কান্না দেখে অনেক কষ্ট লাগল। তোমরা অনেক অনেক ভালো খেলেছ ফাইনালে গেছ শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছ অনেক প্রাপ্তি আমাদের, আগামীতে জিতব ইনশাআল্লাহ। অভিনন্দন তোমাদের। আসুন দয়া করে ইন্ডিয়া পাকিস্থান সাপোর্ট বাদ দিয়ে মনে প্রানে শুধু বাংলাদেশ সাপোর্ট করি আজ থেকে।

বি দ্রঃ কেউ কোন বাংলাদেশী প্লেয়ারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেননা ইচ্ছা করে কেউ বাজে খেলেনা।

বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১২

তখন একাত্তর
জুলফিকার শাহাদাৎ


তখন একাত্তর,
আমার ঘরে নামলো যখন ঝড়;
তখন একাত্তর।

একাত্তরের ছাব্বিশে মার্চ রাতে,
হিংস্র ক’জন দানো এল অস্ত্র নিয়ে হাতে-
সবাই তখন ঘুমিয়েছিলাম, এই সুযোগে তারা,
জ্বালিয়ে দিল পাড়া।

দাউ দাউ দাউ আগুন শিখায় জ্বললো বাড়িঘর,
তখন একাত্তর।
তখন একাত্তর।

সবাই সেদিন দেশ বাঁচাতে মিলিয়েছিলাম হাত
সামনে ছিল বজ্রতুফান, মৃত্যু অকস্মাৎ-
হার মানিনি। হারবো কেন? ছাড়বো নিজের ঘর?
তখন একাত্তর।
তখন একাত্তর।

সেদিন সকল দামাল কিশোর সাহস নিয়ে বুকে-
দাঁড়িয়েছিলাম অন্ধকারের দৈত্য-দানোর মুখে
চোখে ছিল জয়ের নেশা,তুচ্ছ মৃত্যুভয়-
আমরা সেদিন দেশ করেছি জয়।

এদেশ আমার এদেশ তোমার এদেশ সবার মা
আমার মায়ের সঙ্গে কারো তুলনা হয় না
এই মা আছে বুকের ভেতর,থাকবে জীবনভর,
তখন একাত্তর।
তখন একাত্তর।
 

Nissongo Gangchil


বাবার কাছে
হাসনাত আমজাদ

(উৎসর্গ; ছড়াকার বন্ধু প্রবীর বিকাশ সরকার-কে)
বিদেশ থেকে আসছে টিনা 
আসছে বাবার কাছে
বাবাটি তার কত আপন
জানা কি তা আছে ?

জানে বোধ হয় , নইলে কি আর
এইভাবে কেউ আসে ?
দূরে থেকেও হয়তো বা সে
স্বপ্ন সুখে ভাসে ।

স্বপ্ন আছে দেশ নিয়ে তার
স্বপ্নমধুর স্মৃতি
গ্রামের ছবি ,বাবার স্নেহ
ভালবাসা, প্রীতি।

মা থাকে তার কাছেই, বাবা
দেশে, অনেক দূরে
ঘুম পাড়াত ছেলেবেলায়
বাবা গানের সুরে।

ছুটতো মাঠে, কাঁধে টিনা
ছুটতো নদীর ধারে
বাবার মত বাসতে ভালো
আর তাকে কেউ পারে ?

মন ছুটে তাই বাবার কাছে
মন কত কি বলে
তাকিয়ে আছে বাবা,দুচোখ
ভাসছে চোখের জলে।
 

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১২

একটা গাধার উদ্দেশ্যেঃ


শোন গাধা,

এই মুহূর্তে আমি অনেক রেগে আছি
রাগের অনেকগুলো কারন,
১. তুমি কখনও আমাকে "ভালবাসি" টাইপ কিছু বলনিকারন, তুমি মনে কর এটা essential কিছুনাতোমার মাথায় যদি একটুও ঘিলু থাকত তাহলে তুমি বুঝতে কারো ভালবাসা মনে মনে বুঝতে পারা আর তার মুখ থেকে সেটা সরাসরি শোনার মধ্যে কত পার্থক্য! বারবার না হোক, অন্ত্যত একবার তো বলতে পার! 

২. তুমি একটা পাগলকেন পাগল...কিভাবে... এসব ব্যাখ্যা করতে পারব না আমি এখন 

৩. তুমি অনেক জটিল একটা মানুষঅসাধারণঅর্থে জটিল বলিনিজটিল মানে complicated. আমি এতদিন মনে করতাম মেয়েদের বোঝা অনেক কঠিনএখন দেখতে পাচ্ছি তুমি মেয়েদের চেয়েও বেশি জটিল! 

৪. আমার রেগে থাকার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, তুমি আমার সামনে অন্য মেয়েদের সুন্দর বল!! গতকালও বলেছ!! তুমি জাননা অন্য মেয়েদের সুন্দর বললে আমি বিরক্ত হই? 
থাক, তোমার কিচ্ছু বোঝা লাগবেনা 

কি? আমি হিংসুটে? হ্যাঁ, আমি তো হিংসুটেইআর তুমি হচ্ছ একটা... থাক আর বললাম না! 
তুমি তো এখন আবার মনে করবে আমার মন খারাপ! নাহ, আমার মন একটুও খারাপ না
আমি একদম বিরক্ত না
আর তোমাকে ভালোও বাসি নাএক ফোঁটাও না 

ইতি,

কেউ না

Note


ভালোবাসার মানুষটিকে ভালবাসতে না পাড়ুন কিন্তু তাকে কষ্ট দিবেন না, কারন আপনি হয়ত পৃথিবীর কাছে কিছুই না কিন্তু আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে আপনিই তার পৃথিবী । 
-হেনরি ফ্রেডারিক আমিয়েল

Note


একটা ছেলে একটি মেয়েকে ভালবাসতো... মেয়েটি অন্ধ ছিল... সে তার বয়ফ্রেন্ড ছাড়া বাকি সবাইকে অপছন্দ করত...  সে সবসময়ই বলতো আমি যদি দেখতে পেতাম তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করতাম... একদিন কেউ একজন মেয়েটিকে চোখ দান করে... মেয়েটির অপারেশন সফল হয়... মেয়েটি যখন তার বয় ফ্রেন্ড কে দেখল সে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিলো... সে অবাক হল সে কে ভালবেসেছিল সেই ছেলেটিও অন্ধ... সে ছেলেটিকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়...  ছেলেটি কিছু না বলে মেয়েটির জন্য একটি চিঠি রেখে গেল... চিঠিতে লেখা ছিল...

"
তুমি ভালো থেকো আর আমার চোখের যত্ন নিয়ো "