শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

ভালবাসা চোখের পাপড়ির মত...


ভালবাসা চোখের পাপড়ির মত...

চোখের পাপড়ি যখন তার স্থানে থাকে খুব সুন্দর লাগে...
ভালবাসাতেও তেমনি, দুজন মানুষ, এক জন আরেক জনের কাছাকাছি থাকে তখন তাদের সময় স্বপ্নের থেকেও সুন্দর কাটে...


চোখের পাপড়ি যখন ঝরে গিয়ে চোখে পড়ে তা শুধু কষ্টই দেয়...
তেমনি ভালবাসাও ভেঙ্গে গেলে তা শুধু কষ্টই দেয়, অনেক কাঁদায়...

বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১২

Happy Birthday Surovi.......




Happy Birthday to u..
Happy Birthday to u...
Happy Birthday Dear SUROVI....

Happy Birthday to u.........
          
               From The Heart of TEAM BICL

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১২

“মা”


“মা”

‎** অসাধারণ একটি পোস্ট**

গল্পটা প্রথম যখন পড়ি নিজের অজান্তে চোখে পানি এসে গিয়েছিল,আমি কেঁদেছিলাম, আপনিও না কেঁদে পারবেন না বলেই আমার বিশ্বাস :'(

'আমি কি আমার ছেলেকে কোলে নিতে পারি?'
সদ্য মা হওয়া সুখী এক মহিলা ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলেন।কিন্তু যখন তিনি তার সন্তানকে কোলে পেলেন তার চোখ ফেটে এল জল।তার শিশুটি যে আর সবার মত স্বাভাবিক না।শিশুটি জন্ম নিয়েছে দুটি কান ...ছাড়াই।
বছর গেল।দেখা গেল যে কান না থাকলেও ছেলেটি সবার মতই স্বাভাবিকভাবে শুনতে পায়। শুধু কান দুটির শারীরিক উপস্থিতি ছিল না।একদিন স্কুল থেকে বাসায় এসে মায়ের কোলে পড়ে কাঁদতে থাকল ছেলেটি।'স্কুলে ছেলেরা আমাকে কানহীন দানব বলে ক্ষেপিয়েছে',ছেলের কষ্টের কথা শুনে মাও কাঁদতে লাগলো।
হাতে গোনা কয়েকজন ভালো বন্ধু পেয়ে গেল সে,তাদের সাথেই থাকতো স্কুলের সময়টা।সাহিত্য আর মিউজিকে ক্লাসে আর সবার চেয়ে ভালোও করলো।
ফ্যামিলি ডাক্তার একবার একটি সুখবর নিয়ে আসলেন।তিনি বললেন যে ছেলের কান তিনি প্রতিস্থাপন করতে পারবেন,যদি কোনো সুস্থ মানুষের দুটি কান তাকে যোগার করে দেয়া হয়।অনেক খোঁজাখুজি করেও কাউকে পাওয়া গেল না কান দান করার জন্য।পুরো পরিবারের মন খারাপ।ছেলের মুখের দিকে তাকাতে পারছিল না বাবা-মা।
অবশেষে একদিন বাবা ছেলেকে সুখবরটি দিলেন।একজনকে পাওয়া গেছে যে তার কানদুটি দান করতে রাজি হয়েছে,কিন্তু শর্ত একটাই তার পরিচয় গোপন রাখতে হবে।
নির্দিষ্ট দিনে অপারেশন হলো।ছেলে কান ফিরে পেল,দুনিয়াতে এত সুখী সে নিজেকে কোনোদিনই ভাবেনি।
কিন্তু কার অবদানে সে আজ সুখী?এটা যে তাকে জানতেই হবে।তাকে একটা ধন্যবাদও যদি না দিতে পারে তাহলে যে তার জীবনই ব্যর্থ।কিন্তু বাবা জানাতে রাজী নয়।ছেলেটি খাওয়াদাওয়া বন্ধ দিল,শর্ত দিল,তাকে সেই মহানুভব ব্যাক্তির সাথে দেখা না করালে সে খাবে না।বাধ্য হয়ে তার বাবা তাকে জানাতে রাজী হলো।

সেই দিনটি ছিল ছেলের জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।বাবা তাকে তাদের বেডরুমে নিয়ে গেল এবং তার মায়ের ঘন কালো চুলগুলো দুহাত দিয়ে সরিয়ে দিল।ছেলেটি দেখলো যে তার মায়ের কানদুটি নেই।
ছেলেটি অঝরে কাঁদতে লাগলো,'কিন্তু মা,কোনোদিন নিজের এক টুকরো চুলও কাটতে দাওনি তুমি।'
আসলে প্রকৃত সৌন্দর্য বাহ্যিক নয়,প্রকৃ্ত সৌন্দর্য থাকে হৃদয়ে।প্রকৃত সম্পদ সেটা নয় যা দেখা যায়,প্রকৃ্ত সম্পদ সেটাই যা দেখা যায় না।

ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো, তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড় ?



ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো, তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড় ?

হে আকাশ
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকা প্রতিটি নিঃশ্বাস
পাবে কিনা জীবনে তার কাছ থেকে কোন আশ্বাস
ভালবাসতে হলে প্রয়োজন কতটুকু বিশ্বাস!

তোমাকে পাওয়াই ছিল যার ব্রত
তার মনে আজ তোমার তরে কত ক্ষত
আকাশ দেখে
বাতাস দেখে
শুধু তুমি দেখ না!
তাই বলে কি সে কষ্ট পাবে না?

চোখে কি কোন অশ্রু আসবে না, তার
ভালবাসি বলেছে তোমায় কত বার
ঠিক করে কি বলতে পারবে একবার?

জানি তা তোমার সাধ্য নয়
তবে একটা কথা জেনে রেখো
তার ক্রন্দন দেখে
বাতাস হু হু করে কেঁদে উঠে
আকাশ কেমন জানি অন্ধকার হয়ে যায়
রাত্রির শেষ লগ্নে
ফজরের আযান পড়বে যখন
পাখিগুলো ক্রন্দনের ফলে নীড়ে থাকে না তখন,
বেরিয়ে আসে যখন
নতুন দিনের শুরু হয়ে যায় তখন
ভাবনা শেষ হয় না তার অনুরণন!

তোমার শুরু হয় যখন শুভ কোন সকাল
সারা রাত ভাবতে ভাবতে ঘুমাতে যাবে এটাই তার কপাল!!

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১২

এই ছেলেগুলি কাঁদছে কেন জানেন?

"এই ছেলেগুলি কাঁদছে কেন জানেন?
-যা ভাবছেন তা না। ওরা হারতে অভ্যস্ত। এরচেয়ে ভালো খেলেও হেরেছে তারা।
-না। দশ-বিশ হাজার টাকা বোনাস হাতছাড়া হবার জন্যও কাঁদেনি ওরা।
-টুর্নামেন্টের ট্রফিটা না ধরতে পারার জন্যও না। ওরা জানে সামনে আরো অনেক ট্রফি ওদের পায়ে গড়াবে।
ওরা কাঁদছে আমার-আপনার জন্য। একটুর জন্য আমাদের স্বপ্নটার বাস্তবরূপ দিতে পারল না বলে।
ওরা কাঁদছে- যে ছোট শিশুটা খেলা না বুঝেই 'বাংলাদেশ' বলে চিৎকার করছিল তাকে আরেকটু চিৎকার করার উপলক্ষ এনে দিতে না পারার জন্য। আপনি কাঁদছেন পাকিস্তানের কাছে হারার জন্য। আর ওরা কাঁদছে আপনি কাঁদছেন বলে।"
 সালাম তোমাদের

সেই তুমি

সেই তুমি
হাতে হাত রেখে
পড়ন্ত বিকেলে
বৃষ্টি ঝরালে
শুকনো মরুভূমির মাঝে।

এই আমি সেই আমি
কত দুঃখ কত স্মৃতি
মনে পড়ে আজ,
অগোছালো জীবন
অন্ধ পথিকের মতন
চলছিল হৃদয় পুঁড়ে।

অনেকের অনেক কথা
হৃদয় ডোবে অশ্রুজলে
মনে পড়ে আজ
জীবনের শত ক্ষত চিহ্ন গুলো।

সেই তুমি
খেয়ালী আকাশের বুকে
ঝড়ে যাওয়া জীবনটাকে
সাজালে নতুনরূপে
পাল তোলা আবেগে।

কতদিন স্বাদ নেইনি তার
বসেছি শতবার
সন্ধ্যা তাঁরার মতন
ভেসে ওঠে সরল সেই মুখ
এই আমি আজ তোমারি কারণে।

ফুলের মতন গড়েছি জীবন
জমিয়ে শত ব্যাকুলতা
অবুঝ এমন মানে না বারণ
আনমনে জেগে ওঠা সেই ভুল।

হারাতে চাই না আর
যা চাইলেই আসবে না
চিরসুখ ক’জনার কপালে রয়,
শত কষ্টের অল্প সুখ
বাঁচাতে শেখায়।

সেই তুমি
খেয়ালী নয় আপন মনে
বাঁধবে ঘর আমার বুকে
দুঃখ কষ্ট জয় করে
থাকব আমরা মহাসুখে।

হতাশ নই

হতাশ নই কিন্তু খেলোয়াড়দের কান্না দেখে অনেক কষ্ট লাগল। তোমরা অনেক অনেক ভালো খেলেছ ফাইনালে গেছ শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছ অনেক প্রাপ্তি আমাদের, আগামীতে জিতব ইনশাআল্লাহ। অভিনন্দন তোমাদের। আসুন দয়া করে ইন্ডিয়া পাকিস্থান সাপোর্ট বাদ দিয়ে মনে প্রানে শুধু বাংলাদেশ সাপোর্ট করি আজ থেকে।

বি দ্রঃ কেউ কোন বাংলাদেশী প্লেয়ারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেননা ইচ্ছা করে কেউ বাজে খেলেনা।

বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১২

তখন একাত্তর
জুলফিকার শাহাদাৎ


তখন একাত্তর,
আমার ঘরে নামলো যখন ঝড়;
তখন একাত্তর।

একাত্তরের ছাব্বিশে মার্চ রাতে,
হিংস্র ক’জন দানো এল অস্ত্র নিয়ে হাতে-
সবাই তখন ঘুমিয়েছিলাম, এই সুযোগে তারা,
জ্বালিয়ে দিল পাড়া।

দাউ দাউ দাউ আগুন শিখায় জ্বললো বাড়িঘর,
তখন একাত্তর।
তখন একাত্তর।

সবাই সেদিন দেশ বাঁচাতে মিলিয়েছিলাম হাত
সামনে ছিল বজ্রতুফান, মৃত্যু অকস্মাৎ-
হার মানিনি। হারবো কেন? ছাড়বো নিজের ঘর?
তখন একাত্তর।
তখন একাত্তর।

সেদিন সকল দামাল কিশোর সাহস নিয়ে বুকে-
দাঁড়িয়েছিলাম অন্ধকারের দৈত্য-দানোর মুখে
চোখে ছিল জয়ের নেশা,তুচ্ছ মৃত্যুভয়-
আমরা সেদিন দেশ করেছি জয়।

এদেশ আমার এদেশ তোমার এদেশ সবার মা
আমার মায়ের সঙ্গে কারো তুলনা হয় না
এই মা আছে বুকের ভেতর,থাকবে জীবনভর,
তখন একাত্তর।
তখন একাত্তর।
 

Nissongo Gangchil


বাবার কাছে
হাসনাত আমজাদ

(উৎসর্গ; ছড়াকার বন্ধু প্রবীর বিকাশ সরকার-কে)
বিদেশ থেকে আসছে টিনা 
আসছে বাবার কাছে
বাবাটি তার কত আপন
জানা কি তা আছে ?

জানে বোধ হয় , নইলে কি আর
এইভাবে কেউ আসে ?
দূরে থেকেও হয়তো বা সে
স্বপ্ন সুখে ভাসে ।

স্বপ্ন আছে দেশ নিয়ে তার
স্বপ্নমধুর স্মৃতি
গ্রামের ছবি ,বাবার স্নেহ
ভালবাসা, প্রীতি।

মা থাকে তার কাছেই, বাবা
দেশে, অনেক দূরে
ঘুম পাড়াত ছেলেবেলায়
বাবা গানের সুরে।

ছুটতো মাঠে, কাঁধে টিনা
ছুটতো নদীর ধারে
বাবার মত বাসতে ভালো
আর তাকে কেউ পারে ?

মন ছুটে তাই বাবার কাছে
মন কত কি বলে
তাকিয়ে আছে বাবা,দুচোখ
ভাসছে চোখের জলে।
 

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১২

একটা গাধার উদ্দেশ্যেঃ


শোন গাধা,

এই মুহূর্তে আমি অনেক রেগে আছি
রাগের অনেকগুলো কারন,
১. তুমি কখনও আমাকে "ভালবাসি" টাইপ কিছু বলনিকারন, তুমি মনে কর এটা essential কিছুনাতোমার মাথায় যদি একটুও ঘিলু থাকত তাহলে তুমি বুঝতে কারো ভালবাসা মনে মনে বুঝতে পারা আর তার মুখ থেকে সেটা সরাসরি শোনার মধ্যে কত পার্থক্য! বারবার না হোক, অন্ত্যত একবার তো বলতে পার! 

২. তুমি একটা পাগলকেন পাগল...কিভাবে... এসব ব্যাখ্যা করতে পারব না আমি এখন 

৩. তুমি অনেক জটিল একটা মানুষঅসাধারণঅর্থে জটিল বলিনিজটিল মানে complicated. আমি এতদিন মনে করতাম মেয়েদের বোঝা অনেক কঠিনএখন দেখতে পাচ্ছি তুমি মেয়েদের চেয়েও বেশি জটিল! 

৪. আমার রেগে থাকার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, তুমি আমার সামনে অন্য মেয়েদের সুন্দর বল!! গতকালও বলেছ!! তুমি জাননা অন্য মেয়েদের সুন্দর বললে আমি বিরক্ত হই? 
থাক, তোমার কিচ্ছু বোঝা লাগবেনা 

কি? আমি হিংসুটে? হ্যাঁ, আমি তো হিংসুটেইআর তুমি হচ্ছ একটা... থাক আর বললাম না! 
তুমি তো এখন আবার মনে করবে আমার মন খারাপ! নাহ, আমার মন একটুও খারাপ না
আমি একদম বিরক্ত না
আর তোমাকে ভালোও বাসি নাএক ফোঁটাও না 

ইতি,

কেউ না

Note


ভালোবাসার মানুষটিকে ভালবাসতে না পাড়ুন কিন্তু তাকে কষ্ট দিবেন না, কারন আপনি হয়ত পৃথিবীর কাছে কিছুই না কিন্তু আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে আপনিই তার পৃথিবী । 
-হেনরি ফ্রেডারিক আমিয়েল

Note


একটা ছেলে একটি মেয়েকে ভালবাসতো... মেয়েটি অন্ধ ছিল... সে তার বয়ফ্রেন্ড ছাড়া বাকি সবাইকে অপছন্দ করত...  সে সবসময়ই বলতো আমি যদি দেখতে পেতাম তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করতাম... একদিন কেউ একজন মেয়েটিকে চোখ দান করে... মেয়েটির অপারেশন সফল হয়... মেয়েটি যখন তার বয় ফ্রেন্ড কে দেখল সে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিলো... সে অবাক হল সে কে ভালবেসেছিল সেই ছেলেটিও অন্ধ... সে ছেলেটিকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়...  ছেলেটি কিছু না বলে মেয়েটির জন্য একটি চিঠি রেখে গেল... চিঠিতে লেখা ছিল...

"
তুমি ভালো থেকো আর আমার চোখের যত্ন নিয়ো "

Note


একটা ১২ বছরের ছেলে একদিন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল হঠাৎ সে দেখল মাটিতে একটা ছবি পড়ে আছে ছবিটি মাটি থেকে তুলে দেখল একটি ছোট্ট মেয়ের ছবি ছবিটি প্রথম দেখেই ছেলেটি ছবির ওই মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলে আসে পাশে অনেক খোঁজার চেষ্টা করে কিন্তু পায় না ছেলেটি ধীরে ধীরে বড় হয় এবং মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়ার আশা হারিয়ে ফেলে কিন্তু সে তার সেই প্রথম ভালোবাসার মেয়েটির ছবিটি খুব যত্ন করে রেখে দেয় একদিন তার বিয়ের হয়,  তার আলমারি গোছাতে গোছাতে তার স্ত্রী সেই ছবিটি দেখে, অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে "ছবিটি কার?" ছেলেটি বলে, "ছবিটি আমি ছোটবেলায় রাস্তায় কুঁড়িয়ে পেয়েছিলাম তখন থেকে ছবিটি আমার কাছেকিন্তু তুমি এত অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলে কেন?"
স্ত্রীটি বলল - "আমি যখন ৯ বছরের ছিলাম তখন এই ছবিটি হারিয়ে ফেলেছিলাম :)"
সত্যি বলে লোকে মন থেকে ভালবাসলে ভালোবাসা একদিন না একদিন জীবনে ফিরে আসেই  

বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ, ২০১২

Post



একটা ছেলে আর একটা মেয়ে দুজন দুজন কে খুব ভালবাসত।

মেয়ে:: আচ্ছা তুমি কেনো আমাকে ভালবাস?

ছেলে ::তোমার মনের জন্য।

মেয়ে:: নাহ!মন দেখা যায় না।তুমি বল কী দেখে আমাকে ভালবাসলে??

ছেলে ::তোমার সৌন্দর্য দেখে।

এই কথা শুনে মেয়েটা খুব খুশি হল।এর কয়েকদিন পর মেয়েটা একসিডেন্ট করল।মেয়ের চেহারায় 
অনেক ক্ষতি হল।ছেলেটা মেয়েকে দেখতে হাসপাতালে আসলো।

মেয়ে:: "আমার চেহারা নষ্ট হয়ে গেছে।আমি আর সুন্দর নই।এখন থেকে তুমি আমাকে আর ভালবাসবে 
না।"মেয়েটা কেদে ফেলল।

ছেলে:: "আমি তো আগেই বলেছিলাম আমি তোমার মন দেখে ভালবেসেছিলাম।রূপ হয়তো কমে গেছে 
কিন্তু তোমার মন তো আগের মতই আছে।তাই তোমাকে আগের মতই ভালবাসি।"

(অনুবাদিত)

বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১২

শহরটাকে দিন জ্বালিয়ে

শহরটাকে দিন জ্বালিয়ে
চন্দন চৌধুরী


শহরটাকে দিন জ্বালিয়ে
আমরা শহর চাই না
বনের সবুজ বৃক্ষটা চাই
ছায়ার স্নেহ পাই না

ইটের গন্ধে প্রাণ জুড়ে না
আমরা রাখাল, তাই না!
চাই মাটি চাই গন্ধ সোঁদা,
মাটির গন্ধ পাই না

শহরটাকে দিন জ্বালিয়ে
আমরা শহর চাই না
একটা নদী পেতাম যদি
কত্তটা দিন নাই না।

" হারানো আমি "

" হারানো আমি "

by ভালবাসার ডাকপিয়ন (the cafe of love) on Wednesday, March 7, 2012 at 6:55pm ·
 
আজ অনেক দিন পর ময়মনসিংহ পার্কে হাঁটতে বের হয়েছি । হাঁটতে ভালই লাগছে। সেই সাথে এক ধরনের শূন্যতাও গ্রাস করছে। কাউকে হারানোর শূন্যতা। ময়মনসিংহ পার্কের এই পরিচিত রাস্তাগুলোতে অনেকবার টুসির হাত ধরে হেঁটেছি । আজ আর টুসি নেই । তাই একাই হাঁটতে হচ্ছে । টুসিকে আমার জীবন থেকে হারিয়ে ফেলেছি, প্রায় ছয় মাস হয়ে গেল । পার্কের রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে কালামের ছোট চায়ের দোকানটা চোখে পড়লো । অনেকদিন এই দোকানটাতে চা খাওয়া হয় না । ১২-১৩ বছরের কালাম নামের এই ছেলেটা অসাধারণ চা বানায় ।
টুসি আর আমি এই দোকানটাতে অনেকবার চা খেয়েছি । টুসি যে স্যার এর কাছে Physics প্রাইভেট পড়তো সেই স্যার এর বাসা ছিল পার্কের কাছেই । বিকালবেলা ওর প্রাইভেট শেষ হলে মাঝে মাঝেই আমাকে ফোন দিয়া পার্কে আসতে বলতো । বিকালবেলা ওর সাথে পার্কে হাঁটতে এসে প্রায়ই কালামের দোকানে চা খাওয়া হতো ।


দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কালাম ডাকল, `শাফিন ভাই,কই যান?’

এইতো, হাঁটতেছি ।‘
চা খায়া যান । অনেকদিন ধরে তো আসেন না । আফা আহে নাই ?’
কালামের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে দোকানে গিয়ে বসলাম ।

দোকানে গিয়ে বসতেই কালাম এক কাপ চা বানিয়ে হাতে দিল ।

চা খেতে গিয়ে টুসির কথা প্রবলভাবে মনে হচ্ছিলো ।
ও আমার জীবনে কেন এলো , আর কেনইবা কষ্ট দিয়ে চলে গেলো ?

মনে হচ্ছে , এইতো সেদিনের ঘটনা । পাশের বাসায় আসা নতুন ভাড়াটিয়ার সুন্দরী মেয়েটিকে হঠাৎ আমার নজরে পড়লো । সে দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার । কলেজ শেষ করে যখন বাসায় ফিরি তখন পাশের বাসার ২য় তলার বারান্দায় চোখ চলে যায় । দেখলাম , উদাস উদাস ভাব নিয়ে একটি মেয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে । প্রথম দেখাতেই মেয়েটিকে কেমন যেন ভালো লেগে গেলো । তারপর মাঝে মাঝেই মেয়েটির সাথে রাস্তায় দেখা হতো । কখনও দেখতাম বিকালে প্রাইভেটে যাচ্ছে , কখনও দেখেছি স্কুল টাইম এ রিকসার জন্য দাড়িয়ে আছে ।

একদিন হঠাৎ মাথায় ভূত চাপল টুসিকে রিকসার পেছন পেছন ফলো করে ওর স্কুল পর্যন্ত যাবো । যেই ভাবা সেই কাজ । ওর স্কুল টাইম এ বাসা থেকে সাইকেল নিয়ে বের হলাম । কিছুক্ষন পরই টুসি বাসা থেকে বের হয়ে রিকসায় উঠলো । আমিও সাইকেল নিয়ে ফলো করে ওর স্কুল পর্যন্ত গেলাম । ও স্কুলে ঢুকে গেলে আমি আবার বাসায় চলে আসলাম । এভাবে মাঝে মাঝেই ফলো করতাম । একদিন ফলো করছি এমন সময় দেখলাম , টুসি বারবার রিকসার পেছন দিকে তাকিয়ে আমাকে দেখছে । বুঝতে পারলাম ফলো করার বেপারটা ও ধরে ফেলেছে । তাই , ওই দিনের পর থেকে ভয়ে আর ফলো করি নাই । কিন্তু আমি যে টুসির প্রতি কিছুটা দুর্বল হয়ে পরেছি সেটা আস্তে আস্তে অনুভব করলাম । মনে মনে চিন্তা করছিলাম , কিছু একটা অবশ্যই করতে হবে । আল্লাহের রহমতে একটা রাস্তা পেয়েও গেলাম ।

আমার এক মেয়ে ফ্রেন্ড টুসিদের বাসার নিচের তলার ফ্ল্যাট এ থাকতো । সুযোগ বুঝে আমার ফ্রেন্ডকে একদিন সব খুলে বললাম । ওর সাহায্যেই আমি পরে টুসির মোবাইল নাম্বারটা পেয়ে গেলাম । শুরু হল মেসেজ পাঠানো । টুসিকে মাঝে মাঝেই মেসেজ পাঠাতাম । একদিন সাহস করে কল করে বসলাম । ও ফোন রিসিভ করার পর ভদ্র ভাষায় কিছু গালি শুনতে হল । তবুও নাছোড়বান্দার মত লেগেই রইলাম । মাঝে মাঝেই কল করতাম । কিন্তু ও রিসিভ করতো না । তারপর কলেজ এ পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় ব্যস্ততায় টুসির কথা ভুলেই গিয়েছিলাম । ওকে পাবার আশাও প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম । পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর হঠাৎ একদিন টুসির নাম্বার থেকে আমার মোবাইল এ একটা কল আসে ।

আমিতো আকাশ থেকে পড়লাম । ভয়ে ভয়ে কলটা রিসিভ করলাম । রিসিভ করার পর টুসি যে কথাগুলো বলেছিল সে কথাগুলো হচ্ছে :
আপনি কে সে সম্পর্কে আমি জানতে পেরেছি । তিথি আপু (আমার সেই মেয়ে ফ্রেন্ড ,যে টুসিদের বাসার নিচের ফ্ল্যাট এ থাকে) আমাকে সব বলেছে ।
কাউকে ভালো লাগলে সেটা বলতে হয় । কাপুরুষের মত ফোন দিয়ে কাউকে বিরক্ত করে ভালবাসা আদায় করা যায় না । আর কাউকে ভালবাসতে হলে তাকে বুঝতে হয় , ভালো লাগতে হয় , যাচাই করতে হয় । তারপর তো ভালবাসা । হুট করে ভালবাসার কথা বললেই ভালবাসা যায় না । ‘
এই কথাগুলো বলে ও লাইন কেটে দেয় ।

এভাবেই আমাদের রঙিন স্বপ্ন বোনা শুরু হয়ে ছিল । ওই দিনের ফোন কলের পর থেকে আমি সব সময় টুসির পাশে থাকার চেষ্টা করেছি । মাঝে মাঝেই ওর স্কুল এ যাওয়ার সময় সাইকেল দিয়ে রিকসার সাথে সাথে ওর স্কুল পর্যন্ত গিয়েছি । বিকালেও প্রায়ই ওর প্রাইভেট এ যাওয়ার সময় সাথে সাথে গিয়েছি । ও শুধু পিছনে ফিরে মুচকি হাসত । এই মুচকি হাসিটাই আমার কাছে চাঁদের আলো মনে হতো ।
এভাবে চলার দুই মাস পর টুসিকে সরাসরি প্রপোজ করলাম । ও কিছু না বলে শুধু একটু হেসেছিল । ২ দিন পর ও যখন আমার প্রস্তাবে হ্যাঁ বলল তখন আমি যে কি খুশি হয়েছিলাম সেটা বলে বোঝানো যাবে না ।
আমাদের দিনগুলো স্বপ্নের মত এগিয়ে যেতে লাগলো । টুসির ভালবাসায় নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হতো ।
আমার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে মাঝে মাঝেই টুসি জিজ্ঞেস করতো , আমাকে ছেড়ে কখনো যাবে নাতো ?’
আমি ওর হাতটা আরও শক্ত করে ধরে বলতাম ,আমার এই লক্ষ্মী পাগলীটাকে ছেড়ে আমি কখনোই যাবোনা ।
এইভাবে স্বপ্নের ঘোরে অনেকগুলো দিন কেটে গেলো । টুসি এস .এস .সি তে জি .পি . এ - ৫ পেয়ে ভিকারুন্নিসা কলেজ এ ভর্তি হল । ও ঢাকা চলে যাওয়ার আগের দিন আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছিল । ও ঢাকায় ওর খালার বাসায় থাকতো । কলেজ বন্ধ হলে ও যখন ময়মনসিংহ আসতো তখনি শুধু আমাদের দেখা হতো । আর ফোন এবং ফেসবুক এ তো সব সময় যোগাযোগ থাকতোই ।


আমিও ব্যস্ত হয়ে পড়লাম এইচ .এস . সি পরীক্ষা নিয়ে । কেটে যেতে লাগলো দিনগুলো ..........


এইচ.এস.সি পরীক্ষা হয়ে গেল । জি .পি . এ – ৫ পেয়ে ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হলাম । তারপর শুরু হয়ে গেল ভর্তি যুদ্ধ । চান্স পেলাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে । নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালি দিন আর টুসির ভালবাসা নিয়ে মুহূর্তগুলো ভালই কাটছিল । কিন্তু আমাদের সুখটা আর বেশি দিন স্থায়ী হল না । আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে টুসির ফ্যামিলিতে জানাজানি হয়ে গেল । ফ্যামিলির চাপে এক সময় টুসি আমার সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিল । ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে । কিন্তু , কিছুই ঠিক হল না । জীবনটা কালো অন্ধকারে ঢেকে গেলো হঠাৎ করেই । দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছিলো । মোবাইলে কল আসলে মনে হতো এই বুঝি টুসি ফোন করলো । কিন্তু , সেই আশা আশাতেই থেকে যেতো । শুধু ভাবতাম , ফ্যামিলির চাপে ও আমাকে এত সহজেই ভুলে গেলো ।


প্রায় দেড় মাস পর যখন সত্যি ঘটনাটা জানতে পারলাম তখন আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো ।
আসলে , টুসি আরেকটি ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল । তাই , ফ্যামিলির চাপের অজুহাত দেখিয়ে ও আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলো । হিমি নামে টুসির এক বান্ধবীর কাছ থেকে যেদিন কথা গুলো শুনেছিলাম সেদিন কিছুতেই নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না । মনে হচ্ছিলো এটা একটা স্বপ্ন , আর স্বপ্নটা বুঝি এখনি ভেঙে যাবে । যেই মানুষটাকে এত বেশি বিশ্বাস করতাম , এত বেশি ভালবাসতাম সেই মানুষটা আমাকে আজ এভাবে কষ্ট দিলো ।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সেদিনই টুসিকে ফোন দিয়েছিলাম । ভেবেছিলাম সবই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে । কিন্তু , সব কিছু ভুল প্রমাণিত করে টুসি যখন সত্যি ঘটনাটি স্বীকার করলো তখন আমি কিছুক্ষনের জন্য স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম । ইচ্ছা হচ্ছিলো দৌড়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যাই ।
‘ কি দোষ ছিল আমার ? কি ভুল করেছিলাম আমি ? আমিতো শুধু ভালবেসেছিলাম । ‘
‘ হে আল্লাহ , আমার ভালোবাসাটাই কি দোষ ছিল । এটাই কি আমার ভুল ছিল । ‘
আসলে , এরকম দুঃখ পাওয়াটাই মনে হয় ভালোবাসা ।
কথাগুলো চিন্তা করতে করতে কখন যে অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে বুঝতেই পারলাম না । ঘর ভাঙল কালামের ডাকে ।
-শাফিন ভাই , আপনের চা তো অনেক আগেই ঠাণ্ডা হইয়া গেছে । আরেক কাপ চা বানায়া দেই ?
-না থাক । আজকে আর লাগবে না । আরেকদিন এসে খাবো ।
চায়ের কাপটা রেখে টাকা দিয়ে যখন চলে আসছিলাম , তখন আবার পিছন থেকে কালাম ডাক দিলো ।
-শাফিন ভাই , একটু শুইনা যান ।
যাওয়ার পর কালাম আমাকে ওর দোকানের পিছনে একটা গোলাপ গাছ দেখাল । গাছটাতে একটা গোলাপ ফুটে আছে । তখনি আমার গাছটার কথা মনে পড়লো । আমিতো একবারে ভুলেই গিয়েছিলাম । গত বছর , বৃক্ষ মেলা থেকে এই গোলাপ গাছটা কিনে টুসি এখানে এনে রোপণ করেছিলো । বলেছিল , আমাদের ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ গাছটা এখানে থাকবে । গাছটা ঠিকই রয়ে গেছে , কিন্তু আমাদের ভালোবাসাটা হারিয়ে গেছে ।
-শাফিন ভাই , আরেকদিন আসার সময় আফারে সাথে কইরা নিয়া আইসেন । আফা গাছে ফুল দেখলে অনেক খুশি হইব ।


সে কি আর কখনো আসবে এই দোকানে চা খেতে ? হয়তো আসবে অন্য কারো হাত ধরে ......... কথাগুলো চিন্তা করতে করতে হেঁটে যাচ্ছি পার্কের সেই চিরচেনা পথটি ধরে...............


লেখক-(এন. এস . শাফিন)

মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১২

।। নীতি গল্প ।। (Niti Golpo)


।। নীতি গল্প ।। (Niti Golpo)
1.
একটি মুরগিকে পাওয়ার জন্য দুটো মোরগ লড়াই করছিল.................. বিজয়ী মোরগটি উচু দেয়ালে লাফ দিয়ে উঠে বিজয়ের আনন্দে চিত্কার করতে থাকল
***kukkuru kuk***
তারপর একটা ঈগল উড়ে এসে বিজয়ী মোরগটাকে তুলে নিয়ে গেল তখন পরাজিত মোরগটি এক কোনে নিজেকে লুকিয়ে ফেলল
পরে পরাজিত মোরগটিকে লুকনো জায়গা থেকে বের হয়ে মুরগির সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলল
.
.
নীতি কথাঃ অহংকার ও দুর্বিনীতি আচরন সহজেই শত্রুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে
2.
>অতি চালাকের গলায় দড়ি<<

একদা একটি গাধা লবনের ভারী বোঝা বয়ে নিয়ে যাবার সময় নদী পার হতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পানিতে বসে পড়েছিল পানির সংস্পর্শে এসে লবন গুলে একেবারে জল হয়ে গেল উঠে দাঁড়িয়ে গাধা দেখে বোঝা একদম হালকা হয়ে গেছে সে তো মহাখুশী ভাবল বিরাট এক আবিষ্কার করে ফেলেছে সে নদী পার হতে গিয়ে পানিতে বসে পড়লেই যে বোঝা হালকা হয়ে যায় এ কথা তার আগা জানা ছিল না কিছুদিন পরের
ঘটনা সেই গাধাটির পিঠেই তুলার বোঝা ক্লান্ত গাধা নদী দেখেই থুশি হয়ে উঠল চালাকি করে নদী পার হতে গিয়ে সে হোঁচট খাওয়ার ভান
করে পানিতে বসে পড়ল কিন্তু একি ? উঠে দাঁড়াতে পারছে না কেন সে ? শুকনো বোঝা তো এমন ভারী ছিল না ? ক্রমে মাথাটিও আর উঁচু
করে রাখতে না পেরে ডুবে মরে গেল গাধা সে কি জানত লবনের বোঝা পানিতে ভিজে হালকা হয়ে যায় অথচ তুলার বোঝা ভিজে হয়ে যায়
আরো ভারী ?

নীতিকথা : মাঝে মাঝে বুদ্ধির অহংকারে চালাকি করতে গিয়ে ভাগ্য এমন বিড়ম্বনা ঘটায় যা মানুষ স্বপ্নেও
ভাবতে পারে না
3.
••• ভুল করে চাওয়া •••

একটি রাখাল তার পালের একটি বাছুর খুঁজে পাচ্ছিল না খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্খনা জানাল ,"ঈশ্বর ! চোর দেখিয়ে দিলে তোমার উদ্দেশে ছাগল বলি দেব ।" প্রার্থনা তার মন্ঞ্জুর হল হয়তো কারন কিছুক্ষণ পরেই সে বনের ভেতর গিয়ে দেখতে পেল তার বাছুরটি প্রায় থেয়ে শেষ করেছে এক বিরাট সিংহ ভয়ে রাখালের আত্নারাম খাঁচাছাড়া আকাশের দিকে দু হাত তুলে সে বলল , "ঈশ্বর রক্ষা কর চোর দেখিয়ে দিলে ছাগল বলি দেব বলেছিলাম ষাঁড় বলি দেব ঈশ্বর , এ যাত্রায়যদি সিংহের খপ্পর থেকে আমাকে তুমি রক্ষা কর ।"

নীতিকথা : মানুষ অনেক সময় না বুঝে এমন জিনিস চায় , যা পেতে না পেতে তার থেকে মুক্তি পাবার জন্য ব্যতিব্যস্ত
হয় পড়ে
4.
"দেহ অনাবৃত রাখা যদি আধুনিকতার
বিষয় হয়, তবে পশু-পাখি পৃথিবীর
সবচেয়ে আধুনিক প্রাণী।"
-
ডঃ জাকির নায়েক
5.
বাঘ এবং হরিনের দৌড় এ অনেক বার হরিন জেতে
কারন বাঘ দৌড়ায় খাবারের জন্য কিন্তু  হরিন ছোটে জীবনের টানে!!
মরালঃপ্রয়োজনের চেয়ে উদ্দেশ্যটা বেশি দরকারি
6.
>>>>>গাধা ও শিয়াল<<<<<
একদিন একটি গাধা একটি কুয়ার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল এমন সময় সে কুয়ার ভেতর একটি শব্দ শুনতে পেল সে কুয়ার ভেতর তাকাল এবং দেখল একটি শিয়াল কুয়ার ভেতরে পড়ে গেছে শিয়াল তাকে বলল," আমাকে বাঁচাও আমি কুয়ার ভেতর পড়ে গেছি ।" তখন গাধা বলল," আমি তোমাকে কি করে উপরে তুলে আনব ?" তখন শিয়াল বলল "তুমিও নিচে নামো পরে আমি তোমার ওপর পাড়া দিয়ে উপরে উঠি ।" তখন গাধা কুয়ায় নামল এবং শিয়াল গাধার ঘাড়ে পারা দিয়ে উপরে উঠে এল তারপর গাধা বলল,"আমায় এখন উপরে তোলো ।"

তখন শিয়াল বলল," তোমাকে বাঁচাতে গেলে আমি আবার বিপদে পড়ব ।" এই বলে শিয়াল গাধাকে রেখে চলে গেল গাধা তখন বিপদে পড়ল

নীতিকথা :-পরিস্থিতি ভেবে কাউকে সাহায্য করা উচিত
7.
(***অতি আশা দুরাশা***)

ব্যাঙ দেখল ষাঁড় ভীষণ বড় তার শখ হল তার চেয়েও বড় হবার সে বেলুনের মতো নিজেকে ফোলাতে শুরু করল কুঁচকানো বিশ্রী চামড়া তার মসৃণ হয়ে উঠল একটু থেমে সে ছেলেদের জিজ্ঞেস করল ,"দেখ তো এখন ষাঁড় বড় , না আমি ?" ছেলেরা বলল,"ষাঁড় বড় ।"

ব্যাঙ আরো ফোলাতে লাগল নিজেকে এবং বলল ,"এবার ?"

ছেলেরা বলল ," এখনো ষাঁড় তোমার চেয়ে বড় ।"

রেগে গিয়ে ব্যাঙ নিজেকে আরো ফোলাতে গিয়ে বেলুনের মতো ফেটে মরেই গেল

নীতিকথা : দুর্বল সবলের চাল চালতে গেলে তার নিজেরই সর্বনাশ হয়
8.
\\\\\পিঁপড়ে ও ঘুঘুপাখি/////

তৃষ্ঞার্ত এক পিঁপড়ে নদীর জলে মুখ দিতেই তাকে স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে গেল একটি ঘুঘুপাখি তা দেখতে পেয়ে পিঁপড়েটির সামনে একটি গাছের পাতা ফেলে দিল পিঁপড়েটি পাতায় চড়ে বসে প্রাণ বাঁচাল
কিছুদিন পরে পিঁপড়েটি দেখতে পেল একজন শিকারি সেই ঘুঘুটির দিকে তীর ছুঁড়তে উদ্যত কুট করে সে কামড় বসিয়ে দিল শিকারির পায়ে উহ্ করে উঠতেই হাতের তীর গেল পড়ে আর শব্দ পেয়ে ঘুঘুটি ফুড়ুত্‍ করে উড়ে গেল

নীতিকথা : সবসময় উপকারের বদলে প্রত্যুপকার করতে হয়
9.
¤নিরাপত্তার শ্রেষ্ঠ উপায়¤

একটি সাপ বারবার অনেক লোকের পায়ের তলায় পিষ্ট হবার পর অতিষ্ঠ হয়ে ঈশ্বরের কাছে গিয়ে নালিশ জানাল ঈশ্বর তখন বললেন ," প্রথমবার যার পায়ের তলায় পড়েছিলে তারই পায়ে ছোবল বসিয়ে দিলে আর দ্বিতীয় ব্যক্তির পায়ের তলায় তোমাকে পড়তে হত না !"

নীতিকথা : অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথমবারই যদি রুখে দাঁড়ানো যায় , তা হলে পরবর্তীতে তোমার প্রতি অন্যায় করতে কেউ সাহস পাবে না