শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১২

অবাক লাগে

অবাক লাগে

আসিফ মামুন

অসৎ কাজের ধুম পড়েছে ধুম
দিন-দুপুরে লোক হয়ে যায় গুম।

মন্ত্রী খোঁজে কালো টাকার সুখ
চামচা-পিএস বাঁধহারা উল্লুক।

আলুর দোষে ফাঁসছে অনেকজন
জীবন বিনাশ নয়তো মুক্তিপণ।

দেশ হারালো শান্তি-ন্যায়ের কাল
অবাক লাগে ভাবতে ডিজিটাল।
২৪/০৪/১২ খ্রি.

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১২

কান্না

কান্না। মানুষের একান্ত সময়ের একান্ত অনুভূতি।
একে এড়িয়ে বাঁচা যায় না। আমাদের কাঁদতেই হয়।
এটাই সত্য। তবু অন্যের কান্না দেখে খারাপ লাগে।
যদিও জানি-কান্নাও এক ধরনের ঔষধি।
কান্নার সময়ে শান্তি লাভ হয়, কান্নার পরে প্রশান্তি আসে।
একেক জন একেক কারণে কাঁদে। তবে সেই সময়ের অসহায় অনুভূতিটা মনে হয় একই।

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১২

Golpo

একাটা ছেলে আর একটা মেয়ে একে অপরকে খুব ভালোবাসতো
দুর্ভাগ্যবশত মেয়েটি একটি দুর্ঘটনাই মারা যায়
ছেলেটি অনেক কষ্ট পায়
সে কোনোভাবেই তার অশ্রু থামাতে পারে না
ছেলেটি দিনরাত মেয়েটিকে মনে করে আর কাঁদে
অনেকেই সহানুভূতি দেখায়ছেলেটিকে বোঝানোর চেষ্টা করে
কিন্তু কোন যুক্তি এ তার কান্না থামাতে পারে না
এক রাতে সে একটা স্বপ্নে দেখে
সে দেখে তার প্রিয়তমা অনেকগুলো মেয়ের সাথে স্বর্গের বাগানে হাঁটছে
হঠাৎ সে লক্ষ্য করলো, সব মেয়ের হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি রয়েছে, শুধু তার প্রিয়তমার হাতের মোমবাতিটি জ্বলছে না

সে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো তোমার হাতের মোমটি নেভানো কেন?
মেয়েটি বলল, আমি যতবার আমার মোমবাতিটি জ্বালাই তোমার অশ্রু এর উপর পড়ে মোমটি নিভিয়ে দেয়
দয়া করে তুমি আর কেদনাতুমি কাঁদলে আমারও যে কষ্ট হয়...............

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

Jocks

একটি ছেলে ও একটি মেয়ে একসাথে বসে আছে.
হঠাৎ ছেলেটি একটা গোলাপ ফুল বের করল।
মেয়েটি বললঃ হুমম !! কার জন্যে এটা ??
ছেলেটি হাসল... আর বললঃ এটা আমার রাজকন্যার জন্যে কিন্তু... আমি তাকে এটা দিতে পারতেছি না ... :(
মেয়েঃ চেষ্টা করো ! অন্তত সে তো খুশি হবে ...
ছেলেটি উঠে দাঁড়াল... ও হেঁটে চলে গেল...
মেয়েঃ ওই !! তোমার গোলাপ... রেখে গেলা তো !..
ছেলেঃ আমি তোমাকে বলেছিলাম... এটা আমার রাজকন্যার জন্য... !! ♥ ♥ ... :) :) :)

সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২

টিউব–লাইট, তোকে অনেক ভালবাসি

ভালবাসার ডাকপিয়ন (the cafe of love)

লেখক- (আধারের যাত্রী)

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের ক্লাসে যেদিন তুলিকে দেখি সেদিনই আমার ওকে ভালো লেগে যায় । তারপর থেকে সেই ভালো লাগা দিন দিন যেন বেড়েই যাচ্ছিলো । তুলির বয়ফ্রেন্ড আছে জানা সত্ত্বেও আমি ওর প্রতি আমার অনুভূতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না । তুলি ওর হাত দিয়ে যদি কখনো কোন জিনিস আমাকে দিতো , তাহলে কেন জানি সেটা ফেলে দিতে ইচ্ছা হতো না ।
-একদিন সব বন্ধুদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফুচকার দোকানে আড্ডার এক পর্যায়ে তুলি আমার দিকে দুষ্টামি করে একটা মোবাইলের বিজ্ঞাপনের কাগজ ছুড়ে দেয় । সেই কাগজটা আমি এখনো যত্ন করে আমার মানিব্যাগে রেখে দিয়েছি ।
-আমার পড়ার টেবিলে একটা মোজোর কোল্ড ড্রিংকসের বোতল সাজানো আছে । এই বোতলটা তুলির হাতে কেনা । তাই , বোতলটা ফেলে দিতে ইচ্ছা করেনা ।
-তুলি একবার আমার হাতে দুষ্টামি করে দুইটা ফুলের পাপড়ি দিয়েছিলো । সেই পাপড়ি দুটো এখনো মানিব্যাগে রেখে দিয়েছি ।
-আমি মোবাইলের অন্য সব মেসেজ ডিলিট করতে পারি , কিন্তু তুলির যে কয়টা মেসেজ আছে সেই মেসেজগুলো কেন জানি ডিলিট করতে পারিনা .........

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কোন একটা কারনে তুলির তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ হয়ে যায় ।
তারপর থেকে আমার আরও বেশি ইচ্ছা করে এই একাকি মেয়েটার পাশে থেকে মেয়েটার একাকীত্ব দূর করে দিতে ।
তুলিকে নিয়ে আমি কয়েকদিন আগে একটা ছোট গল্প লিখি । গল্পটা লিখে ডিপার্টমেন্টের সবাইকে গল্পটা পড়তে দেই । সবাই গল্পটা পড়ে বুঝতে পারে যে আমি তুলির প্রেমে পরেছি । কিন্তু যার জন্য এত কষ্ট করে গল্পটা লিখেছিলাম সেই তুলি গল্পটা পড়ে কিছুই বুঝতে পারলো না । তুলির একটা সমস্যা হল ও সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝতে পারে । টিউব-লাইট যেমন একটু দেরিতে জ্বলে ওঠে , তুলিও সেইরকমভাবে সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝতে পারে ।

ক্লাসের সবাই আমাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করতো । হয়তো এই কারণেই তুলি কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছিল ।
গত মাসের ২৬ তারিখে তুলি আমাকে গল্পটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে ।
-আচ্ছা , তুই যে তোর গল্পটাতে একটা মেয়ের বর্ণনা দিলি সেই মেয়েটা কে ?
-বলা যাবে না ।
-না , তোকে আজ বলতেই হবে । মেয়েটা কি আমাদের ডিপার্টমেন্টের কেউ ?
-হতেও পারে আবার নাও হতে পারে ।
-ভণিতা করা বাদ দে । সরাসরি মেয়েটার কথা বল ......
-আচ্ছা , তুই কি সত্যিই কিছু বুঝতে পারিস নাই নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করছিস ?
-তুই তো জানিস , আমি টিউব–লাইটের মতো । সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝি ।
-আসলেই কিছু বুঝিস নাই ?
-সত্যি আমি কিছুই বুঝি নাই । বলনা প্লিজ । মেয়েটা কে ?
তখন আমি মানিব্যাগ থেকে ফুলের পাপড়ি দুইটা তুলির হাতে দিয়ে বললাম :
-দেখতো এই পাপড়ি দুইটা চিনতে পারিস নাকি ?
-এই পাপড়ি আমি চিনবো কিভাবে ? তোর গল্পের মেয়েটা তোকে দিয়েছে , তাই না ?
-তুই আসলেই একটা টিউব–লাইট । এতক্ষন ধরে বুঝাচ্ছি কিছুই বুঝতে পারছিস না ।
-আচ্ছা, শুধু এততুকু বল যে , মেয়েটা কি আমাদের ডিপার্টমেন্টের কেউ ?
-হুম ।
কথাটা শোনার পর তুলি ডিপার্টমেন্টের সবগুলো মেয়ের নাম বলা শুরু করলো ।
-মেয়েটা কি মাইশা ?
-না ।
-তাহলে সেতু ?
-না ।
এইভাবে বলতে বলতে তুলি সবার নাম বলল , কিন্তু নিজের নাম বলল না ।
-সবার নামই তো বললাম । কেউই তো বাকি নেই । তাহলে ?
-গাধা , নিজের নাম বলছিস ?
কথাটা শোনার পর তুলি হতভম্বের মতো দাড়িয়ে গেলো । আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না ।
-এইবার বুঝতে পেরেছিস ?
-হুম । রিকশা ডাক দে ।
আমি রিকশা ডাক দিলাম । সারা রাস্তায় ও আর কোন কথা বলেনি । শুধু জিজ্ঞেস করেছিলো , আমি ওকে কতদিন ধরে পছন্দ করি ......
গতকাল তুলির মতামত জানতে পারলাম ।

আসলে ও আমাকে কখনোই ওইভাবে দেখেনি । সব সময় একটা ভালো বন্ধু হিসেবেই আমাকে ভেবে এসেছে । আর এই বন্ধুত্তের মাঝে অন্য কিছু চিন্তা করা ওর পক্ষে কখনোই সম্ভব না ।
কথাটা শোনার পর চোখ দিয়ে পানি এসে গিয়েছিলো । অনেক কষ্টে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি । ও আমাকে ভালবাসুক আর নাই বাসুক আমিতো ওকে ভালবাসি । সেটাই আমার জন্য অনেক । আর আমি যাতে আমার এই প্রিয় টিউব–লাইটটাকে আজীবন ভালবেসে যেতে পারি সেই চেষ্টাই করবো ।
I love you Tube-Light …….. আমি তোকে সত্যিই অনেক , অনেক , অনেক ভালবাসি

টিউব–লাইট, তোকে অনেক ভালবাসি

ভালবাসার ডাকপিয়ন (the cafe of love)

লেখক- (আধারের যাত্রী)

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের ক্লাসে যেদিন তুলিকে দেখি সেদিনই আমার ওকে ভালো লেগে যায় । তারপর থেকে সেই ভালো লাগা দিন দিন যেন বেড়েই যাচ্ছিলো । তুলির বয়ফ্রেন্ড আছে জানা সত্ত্বেও আমি ওর প্রতি আমার অনুভূতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না । তুলি ওর হাত দিয়ে যদি কখনো কোন জিনিস আমাকে দিতো , তাহলে কেন জানি সেটা ফেলে দিতে ইচ্ছা হতো না ।
-একদিন সব বন্ধুদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফুচকার দোকানে আড্ডার এক পর্যায়ে তুলি আমার দিকে দুষ্টামি করে একটা মোবাইলের বিজ্ঞাপনের কাগজ ছুড়ে দেয় । সেই কাগজটা আমি এখনো যত্ন করে আমার মানিব্যাগে রেখে দিয়েছি ।
-আমার পড়ার টেবিলে একটা মোজোর কোল্ড ড্রিংকসের বোতল সাজানো আছে । এই বোতলটা তুলির হাতে কেনা । তাই , বোতলটা ফেলে দিতে ইচ্ছা করেনা ।
-তুলি একবার আমার হাতে দুষ্টামি করে দুইটা ফুলের পাপড়ি দিয়েছিলো । সেই পাপড়ি দুটো এখনো মানিব্যাগে রেখে দিয়েছি ।
-আমি মোবাইলের অন্য সব মেসেজ ডিলিট করতে পারি , কিন্তু তুলির যে কয়টা মেসেজ আছে সেই মেসেজগুলো কেন জানি ডিলিট করতে পারিনা .........

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কোন একটা কারনে তুলির তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ হয়ে যায় ।
তারপর থেকে আমার আরও বেশি ইচ্ছা করে এই একাকি মেয়েটার পাশে থেকে মেয়েটার একাকীত্ব দূর করে দিতে ।
তুলিকে নিয়ে আমি কয়েকদিন আগে একটা ছোট গল্প লিখি । গল্পটা লিখে ডিপার্টমেন্টের সবাইকে গল্পটা পড়তে দেই । সবাই গল্পটা পড়ে বুঝতে পারে যে আমি তুলির প্রেমে পরেছি । কিন্তু যার জন্য এত কষ্ট করে গল্পটা লিখেছিলাম সেই তুলি গল্পটা পড়ে কিছুই বুঝতে পারলো না । তুলির একটা সমস্যা হল ও সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝতে পারে । টিউব-লাইট যেমন একটু দেরিতে জ্বলে ওঠে , তুলিও সেইরকমভাবে সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝতে পারে ।

ক্লাসের সবাই আমাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করতো । হয়তো এই কারণেই তুলি কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছিল ।
গত মাসের ২৬ তারিখে তুলি আমাকে গল্পটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে ।
-আচ্ছা , তুই যে তোর গল্পটাতে একটা মেয়ের বর্ণনা দিলি সেই মেয়েটা কে ?
-বলা যাবে না ।
-না , তোকে আজ বলতেই হবে । মেয়েটা কি আমাদের ডিপার্টমেন্টের কেউ ?
-হতেও পারে আবার নাও হতে পারে ।
-ভণিতা করা বাদ দে । সরাসরি মেয়েটার কথা বল ......
-আচ্ছা , তুই কি সত্যিই কিছু বুঝতে পারিস নাই নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করছিস ?
-তুই তো জানিস , আমি টিউব–লাইটের মতো । সব কিছুই একটু দেরিতে বুঝি ।
-আসলেই কিছু বুঝিস নাই ?
-সত্যি আমি কিছুই বুঝি নাই । বলনা প্লিজ । মেয়েটা কে ?
তখন আমি মানিব্যাগ থেকে ফুলের পাপড়ি দুইটা তুলির হাতে দিয়ে বললাম :
-দেখতো এই পাপড়ি দুইটা চিনতে পারিস নাকি ?
-এই পাপড়ি আমি চিনবো কিভাবে ? তোর গল্পের মেয়েটা তোকে দিয়েছে , তাই না ?
-তুই আসলেই একটা টিউব–লাইট । এতক্ষন ধরে বুঝাচ্ছি কিছুই বুঝতে পারছিস না ।
-আচ্ছা, শুধু এততুকু বল যে , মেয়েটা কি আমাদের ডিপার্টমেন্টের কেউ ?
-হুম ।
কথাটা শোনার পর তুলি ডিপার্টমেন্টের সবগুলো মেয়ের নাম বলা শুরু করলো ।
-মেয়েটা কি মাইশা ?
-না ।
-তাহলে সেতু ?
-না ।
এইভাবে বলতে বলতে তুলি সবার নাম বলল , কিন্তু নিজের নাম বলল না ।
-সবার নামই তো বললাম । কেউই তো বাকি নেই । তাহলে ?
-গাধা , নিজের নাম বলছিস ?
কথাটা শোনার পর তুলি হতভম্বের মতো দাড়িয়ে গেলো । আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না ।
-এইবার বুঝতে পেরেছিস ?
-হুম । রিকশা ডাক দে ।
আমি রিকশা ডাক দিলাম । সারা রাস্তায় ও আর কোন কথা বলেনি । শুধু জিজ্ঞেস করেছিলো , আমি ওকে কতদিন ধরে পছন্দ করি ......
গতকাল তুলির মতামত জানতে পারলাম ।

আসলে ও আমাকে কখনোই ওইভাবে দেখেনি । সব সময় একটা ভালো বন্ধু হিসেবেই আমাকে ভেবে এসেছে । আর এই বন্ধুত্তের মাঝে অন্য কিছু চিন্তা করা ওর পক্ষে কখনোই সম্ভব না ।
কথাটা শোনার পর চোখ দিয়ে পানি এসে গিয়েছিলো । অনেক কষ্টে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি । ও আমাকে ভালবাসুক আর নাই বাসুক আমিতো ওকে ভালবাসি । সেটাই আমার জন্য অনেক । আর আমি যাতে আমার এই প্রিয় টিউব–লাইটটাকে আজীবন ভালবেসে যেতে পারি সেই চেষ্টাই করবো ।
I love you Tube-Light …….. আমি তোকে সত্যিই অনেক , অনেক , অনেক ভালবাসি