এক দুপুরের ভালবাসা
সকাল সাতটা বাজে। এই সময় কে এল ! অদ্ভুত ঘড়ঘড়ে শব্দ বের হয় মিলাদের পুরনো সরকারি কোয়ার্টারের বেল থেকে । বেলের শব্দে মিলার ঘুম ভেঙ্গে গেল। মিলার মা ততক্ষণে দরজা খুলেছে। মিলা খাটে উঠে বসতেই নীলা ঢুকল ওদের ঘরে। ঘরটা ওদের তিন বোনের। মিলা, নীলা আর ইলা।
মিলা বড় বোন। বিয়ে হয়েছে আজ চার বছর । ভালবাসার বিয়ে মিলা আর ফরহাদের । ওদের গভীর প্রেম অনেকের কাছেই ঈর্ষনীয় ছিল। খুব বেশী ভালবেসেছিল মিলা ফরহাদকে। মধ্যবিত্ত পরিবারে প্রেমের বিয়ে মানে একশ একটা বাধা। তবু সব কিছু পেরিয়ে তারা এক হতে পেরেছিল মিলার সাহসের কারনে। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সবকিছু রূপ পালটাতে থাকে। কোটিপতির ছেলে ফরহাদ বিয়ে করেছে মধ্যবিত্ত ঘরের খুব সাধারন মেয়ে মিলাকে। ফরহাদের মা কি করে তা মেনে নেয় ! ছেলের মুখের দিকে চেয়ে মিলাকে ঘরে তুললেও তিনি নানা রকম ঝামেলা করতে লাগলেন ফরহাদ আর মিলার সম্পর্কে চিড় ধরানোর জন্য। মা ভক্ত ফরহাদের কাছে মনে হত , মিলা চাইলেই পারে তার মায়ের সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে। মিলা কিছুতেই শাশুরির আসল চেহারাটা ফরহাদের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। তাছাড়া সে নিজেও চায়নি তার কারনে মা ছেলের সম্পর্ক খারাপ হোক। তাই যতই দিন যেতে লাগলো , ফরহাদ মিলাকে শুধুই ভুল বুঝতে লাগলো।
একদিন ফরহাদ মায়ের কথায় কান দিয়ে খুব বেশী জঘন্য ব্যাবহার করে বসলো মিলার সাথে। আর মিলাও ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে এল। আজ দু মাস ধরে মিলা বাবার বাড়িতে। ফরহাদ একবারও তাকে নিতে আসেনি। তবু মিলা জানে ফরহাদ বেশীদিন ওকে ছেড়ে থাকতে পারবেনা। শীঘ্রই ওকে ফিরিয়ে নিতে আসবে।
সকাল বেলা বেল বাজতে মিলা তাই চমকে উঠে বসেছিল। এক পলকের জন্য তার মনে হয়েছিল,ফরহাদ নয়তো! একটা সুন্দর স্বপ্নও দেখছিল মিলা। সে আর ফরহাদ বুড়িগঙ্গার তীরে কাশবন ধরে হেঁটে যাচ্ছে। ওই জায়গাটায় প্রায়ই ওকে নিয়ে যেত ফরহাদ। ওদের খুব পছন্দের জায়গা। কিন্তু ফরহাদ আসেনি, এসেছে নীলা। নীলা মেজ বোন। ওদের ভার্সিটি থেকে পিকনিকে গিয়েছিল সিলেটে, পাঁচ দিনের জন্য। কিন্তু আজ তো সবে মাত্র তিন দিন হল। নীলা ফিরে এলো যে!
“কিরে নিলু, তোর পিকনিক কি তিন দিনেই শেষ হয়ে গেল নাকি ?” হাই তুলতে তুলতে জিজ্ঞেস করল মিলা।
“না আপা। আমার শরীরটা কেন যেন ভাল লাগছিলনা । তাই পিকনিক ছেড়ে চলে এসেছি। মিনুর সাথে এসেছি,একা আসিনি।” নীলার কণ্ঠ কেমন যেন চাপা চাপা।
“অমা,সেকি! মায়ের সাথে তো এই পিকনিক যাওয়া নিয়ে কত ঝগড়া করলি। রীতিমত যুদ্ধ করে গেলি। আর আজই ফিরে এলি! শরীর বেশী খারাপ নাকি রে ?” নীলার কপালে হাত রাখল মিলা। জ্বর নেই। বরং বেশী ঠাণ্ডা। মিলা চিন্তিত মুখে দেখল নীলাকে। কেমন যেন উদাসীন হয়ে আছে। আনন্দ করতে গিয়ে উল্টো মনমরা হয়ে ফিরল মেয়েটা।
“নিলু, বন্ধু বান্ধব কারো সাথে কিছু হয়নি তো ? ”
চমকে উঠল নীলা, “না আপা। যাহ, কিযে বলনা ।আমি যাই,গোসল করে আসি। খিদে লেগেছে খুব।মাকে ভাত দিতে বল।”
নীলা চলে যেতেই ইলা ঢুকল ঘরে। ইলা হল ওদের ছোট বোন। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পরে।কিন্তু স্বভাব চরিত্র এখনো বাচ্চাদের মত। ঘরে ঢুকেই লাফ দিয়ে খাটে উঠে মিলাকে জাপটে ধরল।
“আপু,তুই কখন উঠেছিস...”
“এই তোর লজ্জা করেনা ? এত বড় বোনকে তুই তুই করে ডাকিস। সাত সকালে কই গিয়েছিলি ?”
ইলা কথা এড়িয়ে বলল, “নিলু গাধীটা নাকি ফিরে এসেছে ? হিহি,খুব ভাল হয়েছে। মনে তো হচ্ছিল পিকনিকে না গেলে ও মরেই যাবে । এখন গিয়ে মরল। হা হা...” হেসে গড়িয়ে পরল ইলা। ইলা আসলে গিয়েছিল ওদের বাসার ছাদে। ছাদে খুবই ছোট্ট টিনের একটা চিলেকোঠার ঘর আছে। সেখানে একজন থাকে। নাম মাহবুব। ইলাদের গ্রামের বাড়ির দূর সম্পর্কের আত্মীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে এখানে পড়তে এসেছে। এই শহরে আর কোথাও থাকার জায়গা না পেয়ে ওদের এই টানাটানির সংসারে বাড়তি বোঝা হিসেবে ঠাই হল এই চিলেকোঠার খুপরিতে। মাহবুবকে প্রথম দেখেই তার সামনেই হাসতে হাসতে খুন হয়েছিল ইলা। মোটা ফ্রেমের চশমার ভেতর বড় গোল গোল চোখ আর তেল চুপচুপে চুল সিথি করে আঁচড়ানো। চেহারাটাও একদম গোবেচারা। এরপর থেকে ইলার নিত্যদিনের মজায় যুক্ত হল মাহবুব। উঠতে বসতে তাকে অপদস্ত করে ছাড়ে ইলা।
“মাহবুব ভাই, আপনার চেহারাটা কে সহজ বাংলায় কি বল জানেন ? ম দ ন , মদন। হাহাহা। “ “আপনি এমন নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটেন কেন মাহবুব ভাই? এমনিতেই তো কানাবাবা, কোনদিন যে উশটা খেয়ে পরবেন কে জানে ।”
“এত পড়াশোনা করে লাভ নাই মাহবুব ভাই। আপনার মত বলদের কপালে বউ জুটবেনা কনদিন,বুঝলেন ? হিহিহি” সে কি হাসি ইলার। ওর হাসির দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে মাহবুব। কিছুই বলতে পারেনা।
আরেকদিন তো ছাদে গিয়ে জানালা দিয়ে মাহবুবের পড়ার টেবিলে তেলাপোকা ছেড়ে দিল। মাহবুব ইলার কর্মকাণ্ড কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা ।তবে একটা জিনিস সে খুব স্পষ্টই বুঝেছে। ইলা মেয়েটা তার প্রেমে পড়েছে। যেমন তেমন পড়া না, ভাল মতই পড়েছে। এমন ভাবে পড়েছে যে ওঠাটা খুব কঠিন। একদিন সন্ধ্যা বেলা মাহবুব ঘুম ভেঙ্গে উঠে দেখে ইলা তার জানালায় দাঁড়িয়ে হুহু করে কাঁদছে। তাকে চোখ মেলতে দেখেই দৌড়ে পালাল। যে কোন বাহানায় সে সারাক্ষণ ছাদে ঘুরঘুর করে। সেটা যে মাহবুবের জন্য তা মাহবুব যানে । ইলার ব্যাপারটা নিয়ে মাহবুব খুব চিন্তিত ছিল। ঘরে জানাজানি হলে একটা কেলেঙ্কারি হবে। তার মত গরীব আশ্রয়ী ছেলের ভালবাসা সাজেনা। ভালবাসা তাদের জন্য পাপ। তাকে যেভাবেই হোক ইলার কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। সেই ব্যবস্থাও সে ইতিমধ্যে করে ফেলেছে।
.........................................................................................................................................................
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমেছে । মিলার আজকে সারাদিন কেটেছে শুধু অপেক্ষায়। মিলা ধরেই নিয়েছিল আজকে ফরহাদ আসবেই। আজকে একটা বিশেষ দিন। অভিমান করে যতই থাকুক , আজ মিলার অভিমান ভাঙাতে আসবেই সে। মিলা তো সেই কবেই ফিরে যেতে চেয়েছিল। সে শুধু অপেক্ষা করে আছে কবে ফরহাদ নিজে এসে তাকে নিয়ে যাবে। সেদিনের অপেক্ষাতেই মিলা আজো ফিরে যায়নি । সারাটাদিন সবার সামনে খুব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছে মিলা। তবু ক্ষণে ক্ষণে চমকে উঠেছে।পায়ের আওয়াজ পেলেও মনে হয়েছে ফরহাদ এসেছে। সন্ধার সময় যখন দরজায় বেল বাজল , দৌড়ে গিয়েছিল মিলা। নাহ, ফরহাদ আসেনি। পোষ্টম্যান একটা খাম দিয়ে গেল। খামের ভিতর ছিল ডিভোর্স লেটার। ফরহাদ পাঠিয়েছে। সাথে একটা ছোট চিরকুট। তাতে লেখা , “মিলা,তোমার সাথে এম্নিতেও আর থাকতে পারছিলাম না আমি। ভালই হয়েছে তুমি নিজ থেকে চলে গিয়েছ। তারপরও আলাদা হবার আনুষ্ঠানিকতাও সেরে নেয়া দরকার। ডিভোর্স লেটার পাঠালাম সাইন করে দিয়ো। ” মিলা কিছুই করলনা। কাউকে কিছু বললও না। তার বিশ্বাস করতে খুব বেশী কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ডিভোর্স লেটারে সাইনটা ফরহাদেরই । সাইনের নীচে তারিখটার দিকে চোখ গেল। আজ একটা বিশেষ দিন। আজ তাদের বিবাহ বার্ষিকী। সাইন করার সময় ফরহাদের কি তারিখটা মনে পরেনি !
............................................................................................................................................................
সেই সন্ধ্যা থেকে বাতি নিভিয়ে শুয়ে আছে নীলা। সবাইকে বলেছে তার নাকি মাথা ব্যথা। অন্ধকার বলে দেখা যাচ্ছেনা কিন্তু চোখের পানিতে নীলার বালিশ ভিজে একাকার হয়ে গেছে। নীলার নিজেরই নিজেকে মেরে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে । এত বড় ভুল সে করল কেমন করে ! ফাহিম নীলার বয়ফ্রেন্ড। ওরা একসাথেই পরে এবং প্রেমের প্রায় এক বছর হতে চলল। খুব গোপনে কাজটা করেছে নীলা যেন বাসার কেউ ঘুনাক্ষরেও টের না পায়। সিলেটে ওদের সাথে ফাহিমও ছিল। ফাহিমের সাথে কিছুদিন থাকতে পারবে সেই জন্যই এত ঝামেলা করে সিলেট গিয়েছে সে । অথচ ফাহিমের জন্যই তো এত বড় ভুল করে ফেলল নীলা। ভুল তো নয়, এ যে পাপ ! সারা শরীর কেঁপে উঠল নীলার। অনেক বড় পাপ করে ফেলেছে সে। এই পাপ ধোয়া যায়না । দু ঘণ্টা ধরে গোসল করে জ্বর আনিয়ে ফেলেছে , তবু যেন শরীর থেকে পাপ যায়নি। অপবিত্র শরীর পবিত্র হবেনা আর কোনদিন। ভালবাসার মোহে ভেসে গিয়ে এ কি করে বসল সে? ফাহিমের হাতে এভাবে নিজেকে সঁপে দিল। একবারও তার মনে হল না সে কি করতে যাচ্ছে ? পরদিনই তাই তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছে নীলা। পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে।
..............................................................................................................................................................
আজ ভরা পূর্ণিমা। মিলাদের পলেস্তারা খসে পড়া পুরনো বাড়িটা চাদের রুপালি আলোয় ঝলমল করছে। ইলা তাদের ছোট্ট বারান্দাটায় বসে আছে। চাঁদের আলোয় গাছের পাতারা অপূর্ব সব নকশা সৃষ্টি করেছে বারান্দায়। সেদিকে তাকিয়ে ইলার চোখ জলে ভিজে এলো। সন্ধ্যায় একবার ছাদে গিয়েছিল সে । দেখল মাহবুব ছাদে বেরিয়েছে।
“এই যে মি..মদন । একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে কি করেন?”
“তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম ইলা।” শান্ত স্বরে বলল মাহবুব। ইলার হাসি মিলিয়ে গেল। মাহবুব কি বলল এটা !
“আ আ আমার জন্য !” ইলা কথা খুঁজে পেলনা।
“ইলা, তোমার একটা জিনিস আমার কাছে রয়ে গেছে । তুমি একটু দাঁড়াও আমি নিয়ে আসছি ।” মাহবুব ওর ঘরে গিয়ে সেই প্লাস্টিকের তেলাপোকাটা নিয়ে এলো, যেটা দিয়ে ইলা ওকে ভয় দেখিয়েছিল।
“নাও ইলা।” ইলা কাঁপা কাঁপা হাতে নিল ওটা। সে কিছুই বুঝতে পারছেনা কি হচ্ছে ।
“ইলা, আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। ”
“কেন?”
“আমার হলে সিট হয়ে গেছে ইলা । আমি কাল চলে যাচ্ছি , হলে উঠবো । তুমি ...তুমি ভাল থেকো।” বলেই চট করে ওর রমে ঢুকে গেল মাহবুব। ওর চোখের জল ইলাকে দেখাতে চায়না সে। এই অবুঝ মেয়েটাকে কখন যে এতটা ভালবাসে ফেলেছে সে নিজেও টের পায়নি । কাল থেকে এই দুষ্টু মেয়েটা তাকে আর জালাতন করবেনা। ইলা পাথরের মত দাঁড়িয়ে ছিল ছাদে। ইচ্ছে হচ্ছিল তখনি ছাদ থেকে ঝাপ দেয়, অথবা ...অথবা দৌড়ে গিয়ে মাহবুবকে জড়িয়ে ধরে বলে, “আপনি কোথাও যেতে পারবেনা । আমি আর কোনদিন আপনাকে জালাবনা,বিরক্ত করবনা। কিন্তু আপনাকে আমি কোথাও যেতে দিবনা,কোথাওনা।” এসব কিছুই করলনা ইলা। চুপচাপ নীচে এসে বারান্দায় বসে রইল।
.......................................................................................................................................... ইলার চোখ কিছুতেই বাঁধ মানছেনা । অনবরত কেবল জল গড়াচ্ছে। কান্নার বেগে ইলা কেঁপে কেঁপে উঠছে। নীলা কখন যে বারান্দায় এসে দাড়িয়েছে ইলা দেখেইনি। নীলা আসতে করে ইলার কাধে হাত রাখল। ইলা চমকে উঠে নীলাকে দেখেই ওকে জড়িয়ে ধরল। নীলাও কাঁদতে লাগলো ইলার সাথে সাথে। অথচ দু জনের কেউই জানেনা একজন এরেকজনের দুঃখ। তবু তারা একসাথে কাঁদছে। মিলা বারান্দায় এসে দেখে দুবোন জড়াজড়ি করে কান্না করছে।
“নিলু,ইলু......কি হয়েছে তোদের ? ”
ইলা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলল , “আপু রে, ভালবাসায় কি খুব কষ্ট রে আপু ?”
নীলাও কাঁদতে লাগলো, “বলনা আপা,ভালবাসালে কেন এত কষ্ট পেতে হয় ?”
মিলা দুজনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। কি জবাব দিবে সে !
“ভালবাসা এই চাঁদের আলোর মত রে। দেখ কত সুন্দর পাতার নকশা। কিন্তু ধরতে গেলে নেই। পুরোটাই মায়া । ” বলেই আর কান্না সামলাতে পারলনা সে। নীলা আর ইলাকে আরও শক্ত করে বুকে চেপে ধরল। এই অপারথিব মায়াবি জ্যোৎস্না রাত্রিতে তিনটি দুঃখী মেয়ে কি যেন বুক ফাটা কষ্টে কেঁদেই চলল। তাদের ঘিরে চাঁদের আলোয় গাছের পাতার কি অপূর্ব নকশা বাতাসে কাঁপছে।
“এক দুপুরের ভালবাসা তেমন কিছুই নয়
আরেক দুপুর এলেই তাকে ভুলে যেতে হয়
এক দুপুরের ভালবাসায় দুটি চোখে জল
সেই জলে ডুব দিয়ে দেখ পাবেনা অতল
সেই অতলের মাঝে তুমি হবে নিরুদ্দেশ
একদুপুরের ভালবাসা আরেক দুপুরেই শেষ।“
মাধবীলতা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন