" আমার পৃথিবী "
by- প্রমিতা
-এই,একটা চিমটি কাটো তো!
-কেন?
-কাটোই না!
-আচ্ছা বাবা...
তোমার মত আমারও বিশ্বাস হচ্ছিল না যে তুমি আমার পাশে বসে আছো। তাই নিশ্চিত হতে চিমটি কাটতেই হল। না,স্বপ্ন না. . . যেটা এতদিন স্বপ্ন ছিল,আজ তা বাস্তব. . . যে হাতটা ধরার জন্য আমার এত অপেক্ষা,সেই হাতের মুঠোয় আজ আমার হাত। কি যে এক অদ্ভুত অনুভূতি! নিমেষেই হারিয়ে গেলাম আমার অসম্ভব প্রিয় দিনগুলিতে......
ফেসবুকেই আমাদের পরিচয়। সেখান থেকে শুরু হয় ফোনালাপ। আমরা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে উঠলাম একে অপরের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। কিন্তু এর মধ্যেই যে তুমি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছ, সেটা বুঝতেই পারিনি। রাত জেগে কথা বলতে বলতে একসাথে আযান শুনতাম আমরা, তবুও যেন কথা ফুরোয় না। আমি তোমাকে গান শোনাতাম, বিনিময়ে শুনতাম তোমার নিজের লেখা কবিতা। তখনও বুঝিনি যে আমার গান শুনে তুমি নীরবে কাঁদতে, আমাকে নিজের করে না পাওয়ার কষ্টে। আমি তখনও তোমাকে ভাবতাম আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু, যাকে বন্ধুত্বের ভালোবাসায় আগলে রাখাটাই ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ, যার একটু মন খারাপও আমার সহ্য হতোনা, যে কাঁদলে আমিও কেঁদে ফেলতাম নিজের অজান্তেই...
নিজের ভালোবাসার কথা চেপে রাখতে না পেরে একদিন বলেই ফেললে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো। আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমার কি করা উচিত। তুমি আমাকে বলতে যে আমি তোমাকে বন্ধু হিসেবেই যতটা ভালোবাসি, যেভাবে আগলে রাখি, তোমার বউও নাকি সেটা পারবেনা! আমারও কেন যেন মনে হত,আমি ছাড়া এই পাগলটাকে আর কেউ ভালো রাখতে পারবেনা, এত ভালোবাসতে পারবেনা। অদ্ভুত একটা মায়া কাজ করছিল তোমার প্রতি। হয়ত সেটাই ছিল আমার লুকোনো ভালোবাসা, যা মিলিয়ে দিয়েছিল আমাদের দুটি আত্মা...
তুমি আমাকে শিখিয়েছিলে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। আগে ভাবতাম শুধু ভালোবাসা পেলেই সুখী হওয়া যায়, কিন্তু আমি সুখী হয়েছি আমার সমস্ত ভালোবাসা তোমাকে উজাড় করে দিয়ে। তোমাকে যত ভালোবাসি, ততই আরো বেশি ভালোবাসতে ইচ্ছা করে।
আমি মাঝে মাঝে ভুলে যাই যে তুমি আমার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকো। আমরা প্লেট সামনে নিয়ে একজন আরেকজনের জন্য অপেক্ষা করি একসাথে খাব বলে, একসাথে ঘুমাতে যাই, একসাথে জেগে থাকি, একসাথে হাসি, একসাথেই কাঁদি.....ঠিক যেন আমাদের ছোট্ট একটা সুখের সংসার!
কিভাবে বুঝব যে তুমি অনেক দূরে??
তোমার লেখা সব কবিতাগুলো তুমি উত্সর্গ কর আমাকে। যখন কবিতাগুলো নিজে আমাকে আবৃতি করে শোনাও, তখন কি যে ভালো লাগে! তোমার কবিতার প্রতিটি শব্দ তো শুধুই আমার, নিজের জিনিস কার না ভালো লাগে বলো? আর তাই তো তুমি আমার সবচেয়ে প্রিয় কবি।
একবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রাতে কথা বলার জন্য বাড়ি থেকে একটু দূরে যেতে হল। আগে কখনো রাতে একা একা বাইরে বের হইনি বলে ভয় লাগছিল। নিস্তব্ধ গ্রাম, চারিদিকে কুয়াশা, তার সাথে অন্ধকার... তবুও শীত আমাকে ছুঁতে পারেনি। কারণ তুমি দূর থেকেই আমাকে পরমস্নেহে আগলে রেখেছিলে তোমার উষ্ণ ভালোবাসা....... গভীর নিস্তব্ধতার মাঝে চোখ বন্ধ করে তোমার আদরমাখা কথাগুলো শুনতে শুনতে কল্পনায় নিজেকে আবিষ্কার করেছিলাম তোমার বাহুডোরে... সেদিন একটুও ভয় লাগেনি আমার! একটা পাগলা ভূত আমাকে সাহস জুগিয়েছিল যে!
সবসময় আমাকে খুশি রাখার জন্য কত চেষ্টা তোমার! ফেসবুকের পেইজ ঘেটে, নানা ওয়েবসাইট ঘেটে জোকস্ সংগ্রহ কর শুধু আমার হাসি শোনার জন্য। আর আমার মন খারাপ থাকলে তো কথাই নেই! যেভাবেই হোক,আমাকে হাসিয়েই ছাড়ো, যা তুমি ছাড়া আর কেউ পারেনা। এই জন্যই তো তোমাকে এত্ত ভালোবাসি. . . . . . .
এতগুলো দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ঘুণ ধরেনি আমাদের ভালোবাসায়, অনুভূতিতে। প্রতিটা মূহুর্তে যেন আমরা একে অপরকে নতুনভাবে ভালোবেসেছি, নতুন করে বারবার আমরা প্রেমে পড়েছি। এখন তুমি ছাড়া একটা মুহুর্তও আমি কল্পনা করতে পারিনা। সৃষ্টিকর্তাকে বারবার ধন্যবাদ জানাই, কারণ তিনি আমাকে তোমার মত এত সুন্দর মনের একটা গাধা আমাকে দিয়েছেন, যে গাধাটা নির্দ্বিধায় আমার সব ভুল ক্ষমা করে দেয়, যে ঝগড়া তো দূরের কথা, ধমক দিয়েও কথা বলেনা, আমি হঠাত্ কষ্ট পেয়ে যাব-এই ভয়ে...যে গাধাটা পারে শুধুই ভালোবাসতে আর আদর করতে...
এই গাধাটার বোকামী, দুষ্টুমী আর পাগলামীগুলোই তো আমার এই ছোট্ট পৃথিবীটাকে পরিণত করে স্বর্গে.....
"এই, কি এত ভাবছ তুমি?" -আলতো করে একটা ঘুষি দিয়ে আমাকে ফেরালে ভাবনার জগত্ থেকে।
আরে! আমার পাগলটাতো আজ সশরীরে আমার পাশে!
এই প্রথমবারের মত তুমি নিজের হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলে আমায়। তোমার বুকে মাথা রেখে আমি খুঁজে পেলাম আমার সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়....যেখানে শুধুই ভালোবাসা আর ভালোবাসা.... লজ্জায় মুখ ফুটে বলতে পারিনি, কিন্তু মনে মনে বললাম, "সারাজীবন আমাকে এভাবেই আগলে রেখ পরম মমতায়, আমার ছোট্ট পৃথিবীটাকে পরিপূর্ণ করে দিও তোমার ভালোবাসায়".........
by- প্রমিতা
-এই,একটা চিমটি কাটো তো!
-কেন?
-কাটোই না!
-আচ্ছা বাবা...
তোমার মত আমারও বিশ্বাস হচ্ছিল না যে তুমি আমার পাশে বসে আছো। তাই নিশ্চিত হতে চিমটি কাটতেই হল। না,স্বপ্ন না. . . যেটা এতদিন স্বপ্ন ছিল,আজ তা বাস্তব. . . যে হাতটা ধরার জন্য আমার এত অপেক্ষা,সেই হাতের মুঠোয় আজ আমার হাত। কি যে এক অদ্ভুত অনুভূতি! নিমেষেই হারিয়ে গেলাম আমার অসম্ভব প্রিয় দিনগুলিতে......
ফেসবুকেই আমাদের পরিচয়। সেখান থেকে শুরু হয় ফোনালাপ। আমরা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে উঠলাম একে অপরের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। কিন্তু এর মধ্যেই যে তুমি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছ, সেটা বুঝতেই পারিনি। রাত জেগে কথা বলতে বলতে একসাথে আযান শুনতাম আমরা, তবুও যেন কথা ফুরোয় না। আমি তোমাকে গান শোনাতাম, বিনিময়ে শুনতাম তোমার নিজের লেখা কবিতা। তখনও বুঝিনি যে আমার গান শুনে তুমি নীরবে কাঁদতে, আমাকে নিজের করে না পাওয়ার কষ্টে। আমি তখনও তোমাকে ভাবতাম আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু, যাকে বন্ধুত্বের ভালোবাসায় আগলে রাখাটাই ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ, যার একটু মন খারাপও আমার সহ্য হতোনা, যে কাঁদলে আমিও কেঁদে ফেলতাম নিজের অজান্তেই...
নিজের ভালোবাসার কথা চেপে রাখতে না পেরে একদিন বলেই ফেললে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো। আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমার কি করা উচিত। তুমি আমাকে বলতে যে আমি তোমাকে বন্ধু হিসেবেই যতটা ভালোবাসি, যেভাবে আগলে রাখি, তোমার বউও নাকি সেটা পারবেনা! আমারও কেন যেন মনে হত,আমি ছাড়া এই পাগলটাকে আর কেউ ভালো রাখতে পারবেনা, এত ভালোবাসতে পারবেনা। অদ্ভুত একটা মায়া কাজ করছিল তোমার প্রতি। হয়ত সেটাই ছিল আমার লুকোনো ভালোবাসা, যা মিলিয়ে দিয়েছিল আমাদের দুটি আত্মা...
তুমি আমাকে শিখিয়েছিলে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। আগে ভাবতাম শুধু ভালোবাসা পেলেই সুখী হওয়া যায়, কিন্তু আমি সুখী হয়েছি আমার সমস্ত ভালোবাসা তোমাকে উজাড় করে দিয়ে। তোমাকে যত ভালোবাসি, ততই আরো বেশি ভালোবাসতে ইচ্ছা করে।
আমি মাঝে মাঝে ভুলে যাই যে তুমি আমার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকো। আমরা প্লেট সামনে নিয়ে একজন আরেকজনের জন্য অপেক্ষা করি একসাথে খাব বলে, একসাথে ঘুমাতে যাই, একসাথে জেগে থাকি, একসাথে হাসি, একসাথেই কাঁদি.....ঠিক যেন আমাদের ছোট্ট একটা সুখের সংসার!
কিভাবে বুঝব যে তুমি অনেক দূরে??
তোমার লেখা সব কবিতাগুলো তুমি উত্সর্গ কর আমাকে। যখন কবিতাগুলো নিজে আমাকে আবৃতি করে শোনাও, তখন কি যে ভালো লাগে! তোমার কবিতার প্রতিটি শব্দ তো শুধুই আমার, নিজের জিনিস কার না ভালো লাগে বলো? আর তাই তো তুমি আমার সবচেয়ে প্রিয় কবি।
একবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রাতে কথা বলার জন্য বাড়ি থেকে একটু দূরে যেতে হল। আগে কখনো রাতে একা একা বাইরে বের হইনি বলে ভয় লাগছিল। নিস্তব্ধ গ্রাম, চারিদিকে কুয়াশা, তার সাথে অন্ধকার... তবুও শীত আমাকে ছুঁতে পারেনি। কারণ তুমি দূর থেকেই আমাকে পরমস্নেহে আগলে রেখেছিলে তোমার উষ্ণ ভালোবাসা....... গভীর নিস্তব্ধতার মাঝে চোখ বন্ধ করে তোমার আদরমাখা কথাগুলো শুনতে শুনতে কল্পনায় নিজেকে আবিষ্কার করেছিলাম তোমার বাহুডোরে... সেদিন একটুও ভয় লাগেনি আমার! একটা পাগলা ভূত আমাকে সাহস জুগিয়েছিল যে!
সবসময় আমাকে খুশি রাখার জন্য কত চেষ্টা তোমার! ফেসবুকের পেইজ ঘেটে, নানা ওয়েবসাইট ঘেটে জোকস্ সংগ্রহ কর শুধু আমার হাসি শোনার জন্য। আর আমার মন খারাপ থাকলে তো কথাই নেই! যেভাবেই হোক,আমাকে হাসিয়েই ছাড়ো, যা তুমি ছাড়া আর কেউ পারেনা। এই জন্যই তো তোমাকে এত্ত ভালোবাসি. . . . . . .
এতগুলো দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ঘুণ ধরেনি আমাদের ভালোবাসায়, অনুভূতিতে। প্রতিটা মূহুর্তে যেন আমরা একে অপরকে নতুনভাবে ভালোবেসেছি, নতুন করে বারবার আমরা প্রেমে পড়েছি। এখন তুমি ছাড়া একটা মুহুর্তও আমি কল্পনা করতে পারিনা। সৃষ্টিকর্তাকে বারবার ধন্যবাদ জানাই, কারণ তিনি আমাকে তোমার মত এত সুন্দর মনের একটা গাধা আমাকে দিয়েছেন, যে গাধাটা নির্দ্বিধায় আমার সব ভুল ক্ষমা করে দেয়, যে ঝগড়া তো দূরের কথা, ধমক দিয়েও কথা বলেনা, আমি হঠাত্ কষ্ট পেয়ে যাব-এই ভয়ে...যে গাধাটা পারে শুধুই ভালোবাসতে আর আদর করতে...
এই গাধাটার বোকামী, দুষ্টুমী আর পাগলামীগুলোই তো আমার এই ছোট্ট পৃথিবীটাকে পরিণত করে স্বর্গে.....
"এই, কি এত ভাবছ তুমি?" -আলতো করে একটা ঘুষি দিয়ে আমাকে ফেরালে ভাবনার জগত্ থেকে।
আরে! আমার পাগলটাতো আজ সশরীরে আমার পাশে!
এই প্রথমবারের মত তুমি নিজের হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলে আমায়। তোমার বুকে মাথা রেখে আমি খুঁজে পেলাম আমার সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়....যেখানে শুধুই ভালোবাসা আর ভালোবাসা.... লজ্জায় মুখ ফুটে বলতে পারিনি, কিন্তু মনে মনে বললাম, "সারাজীবন আমাকে এভাবেই আগলে রেখ পরম মমতায়, আমার ছোট্ট পৃথিবীটাকে পরিপূর্ণ করে দিও তোমার ভালোবাসায়".........
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন