রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

Note


একটা মেয়ে ছিল, একটা ছেলেকে অনেক ভালোবাসতো ছেলেটি প্রথমে মেয়েটিকে অবহেলা করত পাত্তা দিত না আস্তে আস্তে দুজনের বন্ধুত্ব গভীর হতে থাকে, ছেলেটি ধীরে ধীরে মেয়েটির ভালোবাসায় সারা দেয়দুজন জীবনটাকে সুন্দরভাবে পার করতে থাকে কিন্তু হঠাৎ মেয়েটি খেয়াল করে ছেলেটি বদলে যাচ্ছে তার সাথে কথা কম বলে মোবাইল বন্ধ থাকে একদিন মেয়েটি জানতে পারে ছেলেটির জীবনে অন্য কেও আছে মেয়েটি ভেঙ্গে পড়েকি করবে বুঝতে পারে না অনেক চেষ্টা করে ছেলেটিকে তার জীবনে ফিরিয়ে আনার কিন্তু ছেলেটি এমনি ওর থেকে আরো দূরে চলে যেতে থাকে একদিন এক রাতে মেয়েটি নিজের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেমেয়েটি মারা যায়রেখে যায় তার পরিবারের জন্যে অসীম কষ্ট মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে খুব ভালোবাসতো কিন্তু তার আত্মহত্যার পর থেকে তার বাবা পাগল হয়ে যায়১০ বছর পর আজো মেয়েটির পরিবার তার বাবার চিকিৎসা একটি মানসিক হাসপাতালে করাচ্ছে মেয়েটির মা এবং বড় বোন কোনমতে তাদের সংসার চালাচ্ছে 

ছেলেটি কি হয়েছে তা আমি জানি না হয়ত বিয়ে করে সুখে আছে অথবা কোন কারনে কষ্টে আছে ছেলেটি তো মেয়েটিকে ধোঁকা দিয়ে গুনাহ করেছেই কিন্তু মেয়েটিও কি ভুল করেনি ? এমন আমরা অনেকেই করিঅনেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা করি কেও মারা যায়, কেও বেঁচে থাকে একটা ছেলে বা মেয়ের ভালোবাসা আমাদের কাছে এত বড় হয়ে যায় যে সৃষ্টিকর্তার দেয়া জীবন মূল্যহীন হয়ে যায় ? বাবা মার ভালোবাসা কি এতই সস্তা ? তাদের ত্যাগ কি কোন মানেই রাখে না আমাদের জন্যে ? যে আত্মহত্যা করে সে তো চলে যায়, কিন্তু পেছনে রেখে যায় এক অভিশাপ যা তার পরিবার, কাছের মানুষকে ধ্বংস করে দেয় দু বছরের প্রেম ২৫ বছরের বাবা মার সকল ভালোবাসা, ত্যাগ থেকে বড় হয়ে যায় আপনাদের বলছি যারা ভালোবাসায় কষ্ট পেয়েছেন তাদেরকে বলছি, জীবনে সেই মানুষটিকে সবকিছু ভাববেন না, যে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে ভালোমতো তাকিয়ে দেখুন আশেপাশে এমন অনেকেই আছে যে শুধু আপনার মুখের হাসি দেখে বেঁচে থাকে কারো জন্য আপনি কিছুই না, কিন্তু আপনার বাবা মার জন্যে আপনি তার পৃথিবী সেই পৃথিবীকে এভাবে নষ্ট করবেন না  
আমার কথায় কেও দুঃখ পেয়ে থাকলে মাফ করে দিবেন কাওকে কষ্ট দিতে কথাগুলো লিখিনি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন