অনেকদিন আগে, মানুষ তার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাজারে যায়।সেখান সে দেখে অনেককিছুর দোকান,প্রথমে সে সুখের দোকানে যায়।অনেক সুখ ছিল,কিন্তু দোকানী সুখ বিক্রি করে না।
মন খারাপ করে সে তখন যায় আনন্দ কিনতে,কিন্তু আনন্দ কিনতে পারে না!কারণ আনন্দের দাম অনেক ছিল...
তারপর সে হাসি কিনতে যায়,কিন্তু হাসিগুলো মলিন হয়ে গিয়েছিল।সে তখন চিন্তা করলো সে কি করবে?চুপচাপ সে একটি গাছের নিচে বসে পড়লো।
দুপুর হয়ে গেল।সে তখন খুঁজতে লাগল সবচেয়ে সস্তা কি আছে!সে দেখল কিছু ভালোবাসা আছে,সেগুলো কিনেই সে বাড়ি ফিরলো।কিন্তু সে জানতো না যে ভালোবাসার যত্ন নিতে হয়!
মানুষটা তারপর বসবাস করতে লাগল,কিন্তু ভালোবাসা যত্নের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লো।এউ জন্য সে আর ভালোবাসাকে কাছে রাখতে চাইল না।
সে ভালোবাসাকে নিয়ে বাজারে গেল এবং ভালোবাসাকে বিক্রি করে দিল।সে কিছু বেশী টাকা নিয়ে গিয়েছিল।তাড়াহুড়ো করে সে সুখ,আনন্দ আর হাসি কিনে নিয়ে ফিরে এলো।সে দেখেশুনে নেয়নি,তাই সুখের সাথে দুঃখ,আনন্দের সাথে বেদনা আর হাসির সাথে কান্না, সমাজ নামের দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল।
মানুষটার জীবন তখনও ভালোই চলছিল,কিন্তু একসময় সে এই সবকিছুর মধ্যে থাকতে চাইল না। তার তখন কেবল ভালোবাসার কথা মনে হতে লাগলো।
সে সব কিছু নিয়ে তখন আবার বাজারে এলো।সবকিছু বিক্রি করে সে ভালোবাসা খুঁজতে লাগলো।কিন্তু ভালোবাসা ছিল না।তখন সে আবার অন্য জিনিসগুলো খুঁজতে লাগলো,সেগুলোও ছিল না!
কি করবে না ভেবে পেয়ে সে বাড়ি ফিরছিল,হঠাৎ কেউ একজন তার পিঠে হাত রাখে!সে তখন পেছনে তাকায়,বলে,
-তুমি কে?
-আমি অতীত!
-কি চাও?
-কেউ তোমার সাথে না থাকলেও আমি থাকবো!
-সত্যি?
-হ্যা,সত্যি!!!
সেই থেকে ভালোবাসা না পাওয়া মানুষগুলো অতীত আঁকড়ে বাস করছে!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন